আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা—সব মিলিয়ে মহাদেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। ২০২৫ সালে ইউরোপ যেন একের পর এক সংকটের ঘূর্ণিপাকে আটকে আছে। কিন্তু এই অস্থিরতার মাঝেই আলোচনায় উঠে এসেছে বিখ্যাত ভবিষ্যদ্রষ্টা বাবাভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী।
বুলগেরিয়ার এই জ্যোতিষী, যার আসল নাম ভ্যানজেলিয়া পন্দেভা গুষ্টেরোভা, মাত্র ১২ বছর বয়সে ভয়ংকর এক ঝড়ে তার দৃষ্টিশক্তি হারান। এরপর থেকেই তিনি দাবি করেন, ভবিষ্যৎ দেখতে পান। ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা গেলেও, তার করা কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ইতোমধ্যে সত্যি হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে। নাইন ইলেভেন হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল দুর্ঘটনা—এসব নিয়েও তিনি আগেই সতর্ক করেছিলেন বলে শোনা যায়।
ইউরোপের জন্য কী বলেছিলেন বাবাভাঙ্গা?
বাবাভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইউরোপের সামনে রয়েছে আরও ভয়ংকর দিন। তিনি বলেছিলেন, ২০৪৩ সালের মধ্যে ইউরোপ মুসলিম শাসনের অধীনে চলে যাবে, ২০৭৬ সালে গোটা বিশ্বে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়াও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—
🔹 ২০২৪ সাল: ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার (যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন), বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলা বেড়ে যাওয়া, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে যুগান্তকারী সাফল্য।
🔹 ২০২৮ সাল: শুক্র গ্রহে পানির সন্ধান পাওয়া।
🔹 ২০৩৩ সাল: বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যাওয়া।
🔹 ২১৩০ সাল: এলিয়েনদের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন।
🔹 ৩০০৫ সাল: মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গে পৃথিবীর মানুষের যুদ্ধ।
আসলেই কি বাবাভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী মিলছে?
অনেকেই মনে করেন, বাবাভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো কেবল কাকতালীয়ভাবে ঘটেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তার ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়া অবাক করার মতো। বিশেষ করে ইউরোপের চলমান সংকট, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব, এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত পরিবর্তন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগাচ্ছে—তাহলে কি সত্যিই ইতিহাসের গতিপথ পূর্বাভাস করা সম্ভব?
যদিও তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে ইউরোপের চলমান অস্থিরতা অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। সময়ের অপেক্ষায় বিশ্ব।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=HJPtwX3jttU
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।