ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্র বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেফ বোরেল এমন এক মন্তব্য করেছেন যা বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। তার বক্তব্যে ঔপনিবেশিক মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ইউরোপকে সুন্দর বাগান এবং বাকি বিশ্বকে নোংরা জঙ্গল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ।
জোসেফ বোরেল বলেন যে, ইউরোপ এমন এক সুন্দর বাগান যেখানে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রয়েছে, সামাজিক সম্মেলন ঘটেছে ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা আছে। ইউরোপ বাদে বাকি বিশ্ব হচ্ছে নোংরা জঙ্গল।
জোসেফ বোরেল আরো বলেন যে, বাকি বিশ্ব ইউরোপে হামলা চালাতে পারে। এজন্য ইউরোপের নেতাদের উচিত হবে বাকি বিশ্বের দেশগুলোর সাথে বিনিময় বাড়ানো। পাশাপাশি তাদের ইউরোপের নীতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া।
জোসেফের এ মন্তব্যে উপনিবেশিক মানসিকতা, বর্ণবাদী আচরণ, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব ফুটে উঠেছে। তার এই মন্তব্যে পশ্চিমাদের শ্রেষ্ঠ এবং বাকি বিশ্বকে খাটো করে দেখা হয়েছে।
অবশ্য ইউরোপের এ ধরনের আচরণ নতুন কিছু নয়। আফগানিস্তান ও ইরাককে আক্রমণ করার জন্য পশ্চিমারা যে ভাষা ব্যবহার করেছিল সেটা বিশ্লেষণ করলেই তা বোঝা যায়। তথাকথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে সেখানে ভয়াবহ যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় পশ্চিমারা।
ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে এসেছে। নানা অজুহাতে তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হতে দেওয়া হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে গোটা বিশ্ব থেকে আলাদা করতে চায় । এটা করতে গিয়ে তারা নিজেরাই বিপদে পড়ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাধীনভাবে নিজেদের নীতি বাস্তবায়ন করতে পারছে না।
ইউরোপের জাতীয়তাবাদী নেতারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে সমাধান না খুঁজে নিজেদের মতো করে নীতি বাস্তবায়ন করতে চান । অন্যদিকে জোসেফ বোরেল এর মত ব্যক্তিরা বাকি বিশ্বের কারণেই ইউরোপের শান্তি ও গণতন্ত্র ক্ষুন্ন যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে চান।
রাশিয়া ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো অভিন্ন অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তারা নিজেরাই বিশৃঙ্খল বাগানে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।