সাধারণত কোন প্রোডাক্টটা কিনে আমরা ইউজার ম্যানুয়ালটা ছুড়ে খাটের নীচে ফেলি। এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ার আছেন, যাঁরা এই ম্যানুয়াল পড়া ছেড়ে দিয়েছেন। এতে সমস্যা হচ্ছে ম্যানুফ্যাকচারারদের, তাঁদের প্রোডাক্ট ফুলপ্রুফ হচ্ছে না। এবারে এই সমস্যার হাতেগরম সমাধান আনছে এআই। ইউকের একটি সফটওয়ার কোম্পানি এআই প্রযুক্তি এনেছে। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারদের ইউজার ম্যানুয়াল পড়ে দেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
আচ্ছা, আপনি ইউজার ম্যানুয়াল পড়েন? আকাশ থেকে পড়লেন নাকি! যে কোনও গেজেট, বাড়ির নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলে সেটাতে ম্যানুয়াল থাকে, সেটা কি আপনি পড়েন? আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, আপনি গ্রেট। আর যদি না হয়, আপনি একা নন। খুব কম জনই আছেন যাঁরা এটা পড়েন। সেই স্টাডিতে একটু পরে আসছি।
প্রসঙ্গটা পেরে ফেলা যাক। আপনি না হয় ম্যানুয়ালটা ছুড়ে খাটের নীচে ফেলে দিয়ে মুক্তি পেলেন, একবার ভাবুন তো সেই ইঞ্জিনিয়ার-এর কথা, যিনি প্রোডাক্টটা তৈরি করেছেন তাঁর কথা। তিনি কী করেন। মজার কথা হলো, এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ার আছেন, যাঁরা এই ম্যানুয়াল পড়ে পড়ে এতো বোর হয়েছেন, তাঁরাও সেটা পড়া ছেড়ে দিয়েছেন।
এতে ম্যানুফ্যাকচারারদের অন্য সমস্যা হচ্ছে, প্রোডাক্ট ফুলপ্রুফ হচ্ছে না। সেই সমস্যার হাতেগরম সমাধান আনছে এআই। ইউকের একটি খ্যাতনামা সফটওয়ার কোম্পানি একটি এআই প্রযুক্তি এনেছে। যাতে ইঞ্জিনিয়ারদের ইউজার ম্যানুয়াল পড়ে দেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
এতে কী সুবিধে হবে?
এই প্রসঙ্গে যাবো। তার আগে দেখে নেওয়া যাক কজন ম্যানুয়াল পড়েন। ইউকে স্টাডি বলছে পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই পড়েন না। ইউএস স্টাডি বলছে ৫০ শতাংশই পড়েন না। সে না হয় তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম হলে তো খুব সমস্যার। কারণ ইঞ্জিনিয়ারদের অস্ত্র বলতে এই ম্যানুয়ালই। এটা দিয়েই তাঁরা যে কোনও সমস্যা মেটান। তাই সেই কাজে যেনো কোনও ঢিলেমি না আছে, সে দিকেই নজরদারি চালাবে এই এআই প্রযুক্তি।
ইউকের যে কোম্পানি এই প্রযুক্তি এনেছে, তাঁদের বড় অংশের ব্যবসা পাওয়ার গ্রিড আর উইন্ড টার্বাইন নিয়ে। এই দুটি ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া প্রোডাক্ট হাজারো সেন্সর দিয়ে চলে। প্রতিটা সেন্সরে লুকিয়ে থাকে জটিল থেকে জটিলতর প্রযুক্তি। যার জিয়ন কাঠি একটাই ম্যানুয়াল। এই ম্যানুয়ালই বলে দেয়, সমস্যা ঠিক কোন অংশে। এই কাজটাই করবে এআই।
পুরো ম্যানুয়াল গুলে খেয়ে সে ইঞ্জিনিয়ারদের বলে দেবে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে। যে সমস্যা বুঝতে অনেক সময় চলে যেতো, সেটা বোঝা যাবে নিমেষেই। অর্থাৎ একটা দানবের আকারের ম্যানুয়াল হয়ে উঠবে এআই। সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতা যেমন সে ভাগ করে নেবে, সে রকমই নতুনদের বুঝিয়ে দেবে, কী ভাবে সমস্যা মেটাতে হয়।
কম্পিউটারে বিভিন্ন আইডিয়া দিয়ে এআই বলে দেবে সমস্যাটা ঠিক কোথায়, কেনো হচ্ছে। একই ভাবে থ্রিডি ইমেজ তৈরি করে দেখিয়ে দেবে, সমস্যাটার এই ভাবে সমাধান করা যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়। ক্যালিফোর্নিয়ার এক টেক ফার্ম আরও উন্নত একটি এআই প্রযুক্তি এনেছে।
ক্রিয়েটরপ্রো নামের এই প্রযুক্তি একজন ইঞ্জিনিয়ার যেমন ভাবেন বা দেখেন সেই মতো একটি ম্যানুয়াল চোখের নিমেষে তৈরি করে ফেলবে। বানিয়ে ফেলবে সমস্যা সমাধানের স্টেপ বাই স্টেপ ভিডিও। তাই সমস্যা মেটানোর জন্য আর ইউজার ম্যানুয়াল না পড়লেও চলবে। এআই প্রযুক্তি, সব মুশকিলই এ বার করে দেবে আসান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।