জুমবাংলা ডেস্ক: ইডেন মহিলা কলেজে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ও শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় সংগঠন। এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছে বহিষ্কৃত ১২ নেত্রী।
এই ১২ জন নেত্রী হলেন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রশ্মি, মারজানা ঊর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এসএম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগাঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখি।
সোমবার সকাল ১১টায় ইডেন কলেজ প্রাঙ্গণে ‘বিনা তদন্তে বহিষ্কার, নেপথ্যে কারা’ শিরোনামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বহিষ্কৃত নেত্রীরা।
ধানমন্ডি ৩/এ পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে আমরণ অনশন করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বহিষ্কারাদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ ও সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যদি এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে এর সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সদ্য বহিস্কৃত সহ-সভাপতি সুষ্মিতা বাড়ৈ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বহিষ্কার বিষয়টি আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতীর পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজকে কী অন্যায়ের কারণে স্থায়ী বহিষ্কার। আমার অপরাধ আমি আমার নির্যাতিত সহোযোদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছি? সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, হাজার হাজার প্রমাণ এবং চাঁদাবাজির ভিডিও ও অধ্যক্ষ ম্যামকে নিয়ে কটূক্তি- এত বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের কেনো বহিষ্কার করা হলো না। দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করার পর, একজন নেত্রী পদত্যাগ করার পরেও কোনো নতুন তদন্ত কমিটি গঠন না করে কোন তদন্তের ভিত্তিতে এই প্রেস রিলিজ করা হলো?
লিখিত বক্তব্যে বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী বলেন, এখানে একটা কথা বারবার উল্লেখ করা হচ্ছে আমাদের ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে কেন মারধর করা হলো। যদি মারধরের ঘটনায় আসি- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি রোকেয়া হলের সাবেক এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধর করার পর কেন বেনজির হোসেন নিশিকে বহিষ্কার করা হলো না। আপনাদের এবং সকলের ভাষ্যমতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অনিরপেক্ষভাবে শুধু একটি গ্রুপকে কেন বহিষ্কার করা হলো। এই স্থায়ী বহিষ্কারের পেছনে কে বা কারা আছে এর সুষ্ঠু জবাব দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারের ফেসবুক পেজ থেকে একরকম প্রেস রিলিজ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ফেসবুক পেজে আপলোড হওয়া প্রেস রিলিজ অন্যরকম। এর রহস্য উন্মোচন করতে হবে। বিভিন্ন ইউনিটে কোনো সমস্যা হলে তার তদন্ত বা সমাধানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সে নিয়ম না হয়ে কেন সরাসরি স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। তাহলে কি কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের এই অন্যায়ের সাথে সহমত পোষণ করছে? আপনারা জানেন সংবাদ সম্মেলনে আমরা ২১ জন নেত্রী উপস্থিত ছিলাম তাহলে ১২ জনকে কেন বহিষ্কার করা হলো?’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।