জুমবাংলা ডেস্ক: পানির ওপর ভেসে থাকা দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদ, তার গা ঘেঁষে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা স্বচ্ছ পানির লেক। পুরো শহরের বুকজুড়ে থাকা পানিতে প্রাসাদের প্রতিবিম্ব স্পষ্ট, আকাশের মেঘগুলোও লেকের জলে লুটোপুটি খাচ্ছে। লেকের জলযোগে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সঙ্গী ছোট ডিঙি নৌকা— এমন কিছু পরিচ্ছন্ন উদাহরণ উঠে আসে স্বপ্নের নগরী ইতালির ভেনিস সম্পর্কে। পৃথিবীর ভাসমান শহরের তালিকায় সব সময় শীর্ষে তার নাম।
ভেনিস শহরটির মতো নান্দনিক শহর পৃথিবীতে খুব কমই আছে। ভেনিসে নেই কোনো কোলাহল, নেই যান্ত্রিক ব্যস্ততা। প্রশান্তির চাদর বিছিয়ে রাখা পুরো শহরময়।
বছরের বেশির ভাগ সময় পর্যটকদের পদচারণায় দারুণ মুখর থাকে শহরটি। এর রকমারি সৌন্দর্যের আপেক্ষিক রহস্যভেদ মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। শহরের পরতে পরতে থাকা প্রেমময় রহস্য আবিষ্কারে নামতে পারেন আপনিও।
রূপ রহস্যের ভেনিস
প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি পর্যটককে নিজের রূপ মুগ্ধতায় টানে ভেনিস। এর ইতিহাস, শিল্প, ফ্যাশন ও খাবার দাবারের বৈচিত্র্যময়তায় নিজেকে শামিল করা তাদের কাজ হয়ে দাঁড়ায়। বিস্ময়ের অলিগলি জলপথ ভেনিসকে পরিণত করেছে ‘সিটি অব লাভ অ্যান্ড লাইটস’ অর্থাৎ ‘ভালোবাসা ও আলোর নগরীতে। তার বিস্তৃতিও ইউরোপের ৬টি বৃহত্তম নগরীর মধ্যে অন্যতম। আদ্রিয়াটিক সাগরের উপকূলে ইতালির ভেনিটো অঞ্চলে বো ও পিয়াভব নদীর মিলনস্থলে প্রায় ৪১৭.৫৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত ভেনিস। ৩ লাখ নাগরিক বুকে ধারণ করেছে ভেনিসের ১১৮টি ছোট ছোট দ্বীপ। ১৭৭টি খাল আর এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে পায়ে হেঁটে যাওয়ার জন্য রয়েছে ৪০৯টি সেতু। আর তাই রূপের পসরা সাজানো ভেনিসকে ভাসমান নগরীও বলা হয়।
পানির মধ্যে থেকে গেঁথে তোলা সব বাড়ি। বাড়িগুলোর সামনেই স্বচ্ছ থৈথৈ পানির রাস্তা। বাড়িতে ঢুকতে গেলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে বাহন হবে ঐতিহ্যবাহী নৌকা ‘গন্ডোলা’। এখানে স্থলপথ নেই বললেই চলে। ইউরোপের একমাত্র মোটরগাড়িহীন ও একবিংশ শতাব্দীতেও গাড়ির ধোঁয়াহীন শহরের উদাহরণ হয় ভেনিস। প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনেই বেঁধে রাখা থাকে নিজেদের ব্যবহারের জন্য ছোট নৌকা, স্পিড বোট বা গন্ডোলা। হৃদয়ের মধ্যে মাথা উঁচু করে আছে নানান রকম স্থাপত্যশৈলী। ইতালির মূল ভূখণ্ড থেকে একটি বিশাল চওড়া গ্র্যান্ড ক্যানেলটি শহরের প্রধান জলসড়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।