আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছুটির দিন পরিবর্তন করায় ইতিহাসে প্রথমবার জুম্মার দিনে কর্মময় দিন পার করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। এদিন দেশটির কর্মজীবীরা যেমন অফিস করেছেন ঠিক তেমনি স্কুলের শিক্ষার্থীরা গেছেন ক্লাসে।
গত বছরের ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ডিসেম্বরে সরকারি খাতে আকস্মিকভাবি সাপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। শুক্রবার ছুটির দিন পরিবর্তন করে করা হয় শনিবার ও রবিবার।
এই পরিবর্তনে দেশটির অনেকে অভিযোগ করেছেন। সেখানকার ব্যবসায়িক খাতও বিভক্ত হয়ে গেছে। অনেকে পশ্চিমা ধাচে ছুটির দিনে ধাবিত হচ্ছেন। আবার অনেক প্রাইভেট সেক্টর ব্যবসায় ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারই আছে।
দেশটিতে সাপ্তাহিক নামাজ পরার দিন সবসময়ই ছুটির দিন ছিল। ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন পালন হত বৃহস্পতি ও শুক্রবার।
তবে ছুটির দিন পরিবর্তন করার পরও দেশটির মুসল্লিরা আজ আগের মত নামাজে এসেছে। মসজিদগুলো ছিল মুসল্লিতে পূর্ণ। তবে অনেকেই নামাজ শেষে অফিসে ফিরেছেন।
হস্পিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন ব্রিটন রাচেল কিং (২২) যিনি দুবাইয়ে ছয় মাস ধরে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমি বরং শুক্রবার ছুটি নিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, এটা আমরা সবাই জানি এবং ভালবাসি শুক্রবার ছুটি কাটাতে এবং কিছু খোলা জায়গায় যেতে। এতে আমরা অন্য কিছু করতে পারি। তবে এখন তা শনিবার হতে চলেছে।
উপসাগরীয় অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আরব আমিরাতের বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিষয়ে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার লড়াই বেড়ে যাওয়ায় দেশটি সরিকারি খাতে সাপ্তাহিত ছুটির পরিবর্তন আনে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধাজনক করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি আমিরাত সরকারের। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় শুক্রবারের জুমার নামাজের সময়সূচি নিয়ে। এই দিনটি কর্মদিবস হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন দেশটির মুসলিম জনগণ।
শুক্রবার নতুন সময়সূচি ঘোষণার মধ্যে দিয়ে সেই সমস্যার সুরাহার নির্দেশনা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় সরকার।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ইউকেটাইমনিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।