সামরিক ইতিহাসে স্পাই বেলুন আশ্চর্যজনক ভূমিকা পালন করে। স্পাই বেলুন এখনকার যুগেও ব্যবহার হচ্ছে। সামরিক যুগে আধুনিকতা প্রবেশ করলেও স্পাই বেলুন এর গুরুত্ব কমে যায়নি। বহুত আগে চীনে বায়ুর বেলুন ব্যবহার করা হতো। হান রাজবংশের সময় যুদ্ধক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের সংকেত পাঠাতে এ বেলুন কাজে লাগানো হতো।
ঐ সময় আগুনের বেলুন এর গুরুত্ব বাড়তে থাকায় চীনের সামরিক বাহিনিতে এর ব্যবহার বাড়তে থাকে। মোঙ্গল সেনারাও স্পাই বেলুন ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে থাকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি, জাপান, ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা স্পাই বেলুনের ব্যবহার অনেক বাড়িয়ে দেয়। ঐ সময়ে হাজার ফুটের উপরে বেলুন উড়ে যেতে পারতো।
বেলুনে বোমা রেখে তা শত্রুর সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। ওই সময়ে বেলুনের কার্যকারিতাও বেড়ে যায়। তাছাড়া স্নায়ুযুদ্ধের সময়েও আরও কার্যকর বেলুন ব্যবহার করা হয়েছিলো।
স্পাই বেলুন নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময় ‘প্রজেক্ট মোগুল’ ও ‘প্রজেক্ট জেনেটিক্স’ নামে গবেষণা পরিচালনা করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হাইড্রোজেন এর বেলুন খুব ব্যবহার করা হতো। বোমা হামলা করার জন্যও বেলুন ব্যবহার করা হতো।
শুধু বোমা হামলা নয় বরং বিভিন্ন লোকেশনে শত্রুদের অবস্থান খুজে বের করা, তাদের কার্যক্রম ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি কাজেও স্পাই বেলুন ব্যবহার করা হতো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় স্পাই বেলুন ১২০০ থেকে ১৮০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারতো।
এরপর স্পাই বেলুন এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যায়। বেলুনের আকার অনেক বড় হতে থাকে এবং ইঞ্জিন ব্যবহার করা শুরু হয়। ফলে ভারী অস্ত্র পাঠাতে সুবিধা হতো।
১৭৯৪ সালে ফরাসি যুদ্ধের সময় বেলুন উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় । ওই যুদ্ধে জয়লাভ করার পেছনে স্পাই বেলুনের অবদান ছিল। এমনকি এই আইডিয়া নেপোলিয়ন অনেক পছন্দ করত। ইতিহাস বলে সময় যতো গড়িয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বেলুনের কার্যকারিতা বাড়ানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।