যুগ যুগ ধরে মানুষ মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং স্পেস শাটলে করে অনেকবার মহাকাশে যাত্রা করেছে। সব মহাকাশ অভিযান সফল হয়নি বরং স্পেশ শাটল লঞ্চ ব্যর্থতার নানা অভিনব ইতিহাস রয়েছে। আজ এরকম কয়েকটি অভিযান নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১৯৬৭ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এপোলো ওয়ান লঞ্চ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় ভিতরে আগুন ধরা যায় এবং তিনজন যাত্রীর সবাই মারা যায়। ১৯৬৮ সালে টেস্ট ফ্লাইট করতে গিয়ে সউজ ৩ মহাকাশ স্পেশাল শাটল দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এ সময় দুজন আরোহী মারা যান।
ভ্যানগার্ড TV8 হচ্ছে আরো একটি মহাকাশ শাটল লঞ্চ ব্যর্থতার গল্প। রকেটটি উৎক্ষেপণ শুরু করার কিছুক্ষণ এর মধ্যেই এটি মাটিতে বিধ্বস্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। ধারণা করা হয় ট্যাংক এ জ্বালানির পরিমাণ কমার কারণে এর দুর্ঘটনা ঘটে।
এক্স ফিফটিন হচ্ছে ১৯৬৮ সালের সংঘটিত টেস্ট মিশন ফ্লাইট। এরো-ডায়নামিক সিস্টেমে ত্রুটি তৈরির কারণে ফ্লাইটটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। বিমানের পাইলট আকাশে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অ্যাপোলো সিক্স মিশন ছিল অ্যাপোলো প্রোগ্রামের দ্বিতীয় মিশন।
উৎক্ষেপণের দুই মিনিট পাঁচ সেকেন্ড পর রকেটের ভিতরে ত্রুটি দেখা দেয়। পাঁচটির মধ্যে তিনটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে এবং মিশনটি ব্যর্থ হয়। জেমিনি নাইন এ মিশনটি ১৯৬৬ সালে উন্মোচিত হয়। ম্যাকডোনাল্ড এয়ারক্রাফ্ট কারখানায় এটি বিধ্বস্ত হয় এবং সকল ক্রু মারা যায়।
স্যালুট স্পেস স্টেশন এর প্রোগ্রাম এ তিনজন কুরু মেম্বারের সবাই শ্বাসকষ্টের শিকার হয়ে মারা গেছিল। চ্যালেঞ্জার শাটল লঞ্চ দুঘর্টনার গল্প সবাই মনে রাখবে। কেননা এটি উক্ষেপণের পর আকাশেই ধ্বংস হয়ে যায় এবং সাত জন ক্রু মেম্বারের সবাই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যান।
মারাত্মক মহাকাশ অভিযান ব্যর্থতার একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে কলম্বো মিশন। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় শাটলটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এ সময় শাটলটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং সাতজন ক্রু মেম্বারের সবাই মারা যায়। এ সমস্ত দুর্ঘটনা মহাকাশযান অভিযানের সময় নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে উৎসাহিত করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।