গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা ঠান্ডা কফি এমন একটি পানীয়, যা খেলে মন একেবারে ঠান্ডা হয়ে যায়। রেস্টুরেন্টে বসেও কোল্ড কফি অর্ডার করে থাকেন অনেকেই। আবার বাড়িতে বানিয়েও খান। কিন্তু যে সমস্ত কোল্ড কফি হয় বোতলজাত, সেগুলো আপনার শরীরে ঠিক কতটা ক্ষতি করছে, সেটিই জানানো হবে এই প্রতিবেদনে।
চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ বোতলজাত প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম কফিতে ১৫ মিলিগ্রাম চিনি থাকে। এই অতিরিক্ত চিনি আপনার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দিতে পারে।
কোনও ব্যক্তি যদি বারবার বোতলজাত কোল্ড কফি পান করেন, সেক্ষেত্রে তার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ভীষণভাবে বেড়ে যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত বোতলজাত কোল্ড কফি পান করলে।
কোল্ড কফি যদি পান করতেই হয় তাহলে সব থেকে ভালো বিকল্প হলো চিনি ছাড়া কোল্ড কফি পান করা। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি ক্যাফেইন সেবন করেন, সেক্ষেত্রে আপনার গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন নিঃসরণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কোল্ড কফি খাওয়া যেতেই পারে কিন্তু তা যেন হয় চিনি মুক্ত।
শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে ফেলার আরও একটি দুর্দান্ত উপায়ে রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, ইনস্ট্যান্ট কোল্ড কফি পান করার কিছুক্ষণ আগেই চেষ্টা করবেন সালাদ খেতে। সালাদে থাকা ফাইবার ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তবে, কোল্ড কফি কখনও ভোরবেলা বা গভীর রাতে খাওয়া উচিত নয়।
পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের স্বত্ত্ব বিক্রি হলো যত কোটি টাকায়
যে সমস্ত মানুষের ওজন বেশি, যাদের ডায়াবেটিস আছে, ছোট শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তিদের ইনস্ট্যান্ট প্যাকেটজাত কোল্ড কফি পান করা একেবারেই উচিত নয়। কোল্ড কফিতে থাকা অতিরিক্ত চিনি হঠাৎ করেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এই সমস্ত মানুষের শরীরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।