জুমবাংলা ডেস্ক : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ করতে চায় না। পরবর্তীকালে কখনো যাতে ইন্টারনেট বন্ধ করা না যায়, সে জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে সরকার চারটি পর্যায়ে কাজ করছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট বা বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘স্টার্টআপ কানেক্ট’ অধিবেশনে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে যে চারটি পর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে, তা উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, প্রথমত সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। এটা এ সপ্তাহের শেষে চূড়ান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস) শুরু করা হয়েছিল, সেটা বন্ধ করা হয়েছে। এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স গাইডলাইনে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তা ছাড়া বিদ্যমান টেলিকম আইনটি পরিবর্তন করে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ না থাকে।
ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, গেটওয়ে পর্যায়ে ১০ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে। বৃহৎ গ্রাহকদের জন্য আরও ১০ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র আইএসপি পর্যায়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ এবং বড় আইএসপি পর্যায়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব।
তথ্য সুরক্ষা নিয়ে বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গভীর দৃষ্টি রয়েছে। এ ছাড়া তারা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে কাজ করছেন। তিনি আশা করছেন, মে মাসের শেষে এটি চূড়ান্ত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।