লাইফস্টাইল ডেস্ক : পবিত্র রমজানে সুস্থতা নিশ্চিতে ইফতার ও সাহরিতে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়োর কোনো বিকল্প নেই। পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় শুরুর দিকেই থাকে বিভিন্ন ফলের নাম। তার মধ্যে অন্যতম হলো কলা। অল্প খরচে অধিক পুষ্টি এবং কম সময়ে শক্তি জোগানোর কাজে কলা ভীষণ কার্যকরী। এতেপ্রচুর পটাশিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবার থাকে। এসব উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
রোজায় একটি দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে আমাদের শরীরে পুষ্টির অনেক ঘাটতি হয়। এ ছাড়া খালি পেটে ভাজাপোড়া, ভারি মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। সেই সঙ্গে ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে শরীর খারাপ লাগা, হজমে সমস্যাসহ নানা রোগ হতে পারে। তাই ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে কলা রাখুন।
জেনে নিন ইফতারে কলা খাওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে-
শক্তি বৃদ্ধি করে
সারাদিন রোজা রাখার ফলে ইফতারের সময় আমাদের শরীর খুব ক্লান্ত থাকে। আর কলা শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়। কারণ এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান সহজেই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ইফতারে কলা রাখুন।
হাড় ভালো রাখে
হাড়ের যেকোনো ধরনের ক্ষতি আপনাকে দীর্ঘদিন ভোগাতে পারে। বয়সজনিত কারণ ছাড়াও নানা কারণে আমাদের হাড়ের ক্ষয় হয়। রোজায় শরীরের জয়েন্টে ব্যাথাসহ হাড়ের নানা রকম জটিলতা থেকে বেঁচে থাকতে চাইলে ইফতারে নিয়মিত কলা খান। কলায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়কে মজবুত করে ও ভালো রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ইফতারে রাখুন কলা। এতে পেকটিন নামক একটি ফাইবার আছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
পেট পরিষ্কার
হজমের যেকোনো ধরনের সমস্যা শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি করে। তাই পেট পরিষ্কার থাকা খুবই জরুরি। আর রোজার সময়ে পেট পরিষ্কার রাখা আরও বেশি জরুরি। হজমের সমস্যা শরীরে অস্বস্তিসহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই ভালো হজম ও পেট পরিষ্কার রাখার জন্য ইফতারে কলা রাখুন। একটি কলায় প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফলে এটি খুব দ্রুত হজম হয়ে যায় ও পেট পরিষ্কারেও ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিসে ক্ষতিকর নয়
কলা একটি মিষ্টি স্বাদের ফল। তাই অনেক ডায়াবেটিস রোগী ভয়ে কলা খেতে চান না। তাদের ধারণা, কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু কলার জিআই ভ্যালু খুবই কম। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।