ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবাগত এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করা হয়েছে।ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই করে হল কর্তৃপক্ষ আজ এ সিন্ধান্ত নেয়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে আলোচনা শেষে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে একটি জরুরি সভার অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মোঃ আহসানুল হক, ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ইসরাত জাহান, আসমা সাদিয়া রুনা, মৌমিতা আক্তার। উক্ত সভায় তদন্ত কমিটি কতৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই ও পর্যালোচনা হয়। সভায় প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে আবাসিকতা ও হল সংযুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। বহিষ্কৃত চার জন স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বহিস্কৃতদের আগামী ১ মার্চ বেলা ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.শামসুল আলম বলেন, ‘ ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে৷ তাই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নবীন ছাত্রী ফুলপরি খাতুনকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করছে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel