জুমবাংলা ডেস্ক : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ইভিএম মানা যাবে না। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যে ভোট ডাকাতি হলো তখন যদি আমরা মাঠে নামতাম তাহলে তারা সাহস পেত না। আসুন তখন যেটা পারিনি ২০২০ সালে সেটা করি। কারণ এটা বিএনপি, গণফোরাম বা অন্য কারো লড়াই নয়। যেখান থেকেই নির্দেশ আসুক মাঠে নামতে হবে। এটা আমাদের ভোটাধিকার রক্ষার ও বাঁচা মরার লড়াই।
আজ বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশন বেহায়া-নির্লজ্জের মতো বলেছে, ইভিএম হলে দিনের ভোট রাতে হবে না। আপনিই তো তখন সিইসি ছিলেন। আপনি ওই নির্বাচন বাতিল করতে পারেননি? ওই নির্বাচন নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ইভিএম করেছেন।
তিনি বলেন, আঙুলের ছাপ কোনো কারণে না মিলে, তাহলে ওখানে নির্বাচন পরিচালনায় যিনি আছেন, তিনি ২৫ শতাংশ ভোট দিয়ে দিতে পারবেন। যন্ত্রতো মানুষ পরিচালনা করে। আর আমরা এই নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করতে পারি না।
এ সময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, ইভিএম নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অতি আগ্রহ দেখেই বুঝা যায়, তারা কেন এটা চাচ্ছে। পৃথিবীর ৩১টি দেশ ইভিএমে ভোট নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও টিকে আছে মাত্র চারটি দেশে।
তিনি বলেন, আমেরিকা, নরওয়ে, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডের মতো দেশ এটা থেকে সরে এসেছে। কারণ ভোটার বুঝতে পারেন না, তিনি ঠিক জায়গায় ভোট দিতে পেরেছেন কি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে ভবিষ্যতে এদেশের মানুষের মৌলিক ভোটের অধিকারকে স্থায়ীভাবে কেড়ে নেওয়ার এক মহাষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধি বলেই জনগণ মনে করে।
এতে আয়োজক সংগঠনের নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইনজীবী শাহদীন মালিক বক্তব্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।