আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। তার জায়গায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ হারানোর পরে এবার দুর্নীতির মামলায় তদন্তের মুখে পড়লেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহার পাওয়া একটি নেকলেস ১৮ কোটি রুপিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’র।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, সরকারি পদে থাকাকালীন উপহার পাওয়া সব জিনিস সরকারি কোষাগারে জমা করতে হয়। কিন্তু ইমরান সে নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ ওঠেছে। ইমরান ওই নেকলেসটি তার বিশেষ সহায়ক জুলফিকার বুখারির মাধ্যমে লাহরের এক গয়না বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন।
তবে দেশটির কোনো সরকারি বা সাংবিধানিক পদাধিকারী উপহার নিজের কাছে রাখতে চাইলে সেটির বাজারমূল্যের অর্ধেক সরকারি কোষাগারে জমা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ইমরান নেকলেসের মূল্য অনেক কম দেখিয়ে মাত্র কয়েক হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিলেন ক্ষমতা থেকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার শুনানি হতে পারে। রাজনীতির লড়াইয়ে গ্রেফতারও হতে পারেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্যাপ্টেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।