আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে রাতভর পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ চালায়। এ সময় তিনি তার লাহোরের বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। খবর এএফপি’র।
গত বছর অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে খানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং আগাম নির্বাচন দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসার জন্য প্রচারণা চালানোর কারণে তাকে একাধিক আইনি মামলায় জড়ানো হয়েছে।
পুলিশ রাতভর খানের জামান পার্কের বাসভবনের কাছে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। সেখানে অবস্থানরত বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়তে দেখা যায়।
ভোর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে খান একটি ভিডিও বার্তা দেন। এ বার্তায় তাকে টিয়ার গ্যাসের ক্যানিস্টারে সজ্জিত একটি ডেস্কে পাকিস্তান ও পিটিআই’র পতাকার সামনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
‘আমি আজ সমগ্র জাতিকে বলছি যে, তারা আবারো প্রস্তুত, তারা আবারো আসছে। তারা আমাদের জনগণকে লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়বে এবং এ জাতীয় অন্যান্য কাজ করবে, তবে আপনাদের জানা উচিৎ যে, তাদের এমনটা করার কোন যুক্তি নেই।’
পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া ওই ভিডিও বার্তায় তিনি তার কর্মী-সমর্থকদের রাস্তায় নেমে এসে এর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।
টুইটারে ভিডিওবার্তায় ইমরান খান আরও বলেন, জাতির উদ্দেশে আমার বার্তা হচ্ছে, প্রকৃত স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যান। পুলিশ ভাবছে আমাকে জেলে পাঠালে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। কিন্তু তা হবে না।
সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা মৃত্যু হলেও এ লড়াই আপনারা থামাবেন না। একনায়কতন্ত্রকে উৎখাত না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
ইমরানের টুইটার বার্তার পরে লাহোরের পাশাপাশি পাকিস্তানের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ শুরু করেছেন পিটিআই সমর্থকেরা।
ইমরান খানের ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের করাচি, ফয়সালাবাদ, সারগোদা, বিহারী, পেশওয়ার ও কোয়েটার হাজার হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ করছে। দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় নেতাকর্মীদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।