আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এমনিতে ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। তার ওপর আবার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এতে দু’দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে।
এরই মধ্যে একেবারেই ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। জোড়াতালি দিয়ে দেশ চালাতে হচ্ছে আশার আলো দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা ইমরান।
এত সব বিপদের মধ্যে নতুন একটি দুঃসংবাদ পেল ইমরান খান। বিপুল বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে কেটে দেওয়া হয়েছে ইমরানের অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ।
ইসলামাবাদ ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি বুধবার (২৮ আগস্ট) একটি নোটিশ পাঠায় ইমরানের অফিসে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নোটিশে বলা হয় বকেয়া বিল না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। গত মাসে বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। সেটা চলতি মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ লক্ষে। বার বার বিদ্যুৎ কোম্পানির তরফে বকেয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি ইমরানের অফিস। তাই শেষ পর্যন্ত বুধবার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটেই দিয়েছে তারা।
বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার পর পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বিদ্যুতের বিল দেওয়া হয়েছে কিনা বা বিদ্যুৎ কোম্পানিকে বলে ফের সংযোগ পাওয়া গিয়েছে কিনা জানা যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ এভাবে কেটে দেওয়া যে যথেষ্ট বিড়ম্বনার, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে লোডশেডিংয়ের সমস্যা শেষ কয়েক বছর খুব বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানেই সব থেকে বেশি লোডশেডিং হয়। এমনও দেখা গিয়েছে, গরমের সময় দিনের অর্ধেকটা সময়ই বিদ্যুৎ ছাড়াই কাটাতে হচ্ছে পাকিস্তানের মানুষকে। ফলে তীব্র গরমে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। তার উপর এভাবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসেরই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া সত্যিই নজিরবিহীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।