আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর দমন-পীড়নের মধ্যেই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই গঠিত হবে পরবর্তী সরকার, যদিও নির্বাচন এবং এতে কারা বিজয়ী হবেন- এই পুরো বিষয়ে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেই মনে করা হয়।
পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান তো বটেই, এমনকি সরকারের গঠন কিংবা পতনের মতো বিষয়গুলোতেও অতীতে দেশটির সামরিক বাহিনীর ভূমিকা দেখা গেছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য বড় দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইমরান খান নিজে দণ্ডিত হয়ে নির্বাচনের বাইরে আছেন। আদালতে দলীয় প্রতীক বাতিল হওয়ায় তার দলের প্রার্থীরাও লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
এতকিছুর মধ্যেই এখন এটা স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের নির্বাচনে এখন যে দলই জিতুক তাকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেই ক্ষমতায় আসতে এবং থাকতে হবে।
আর নির্বাচনের বাইরে থাকা ইমরান খানের ভবিষ্যৎই বা এখন কোন দিকে যাচ্ছে? এমন প্রশ্ন এখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে সেনা নিয়ন্ত্রণের এই রাজনীতিতে ইমরান খানের ভবিষ্যৎ কী? তার দল এবং রাজনীতি কি টিকে থাকতে পারবে?
দেশটির সামরিক বিশ্লেষক ইকরাম সেহগাল বলছেন, ইমরানের সামনে সে সুযোগ আছে এখনো। এর বড় কারণ হচ্ছে, তার বড় রাজনৈতিক সমর্থক গোষ্ঠী আছে। তার দল নির্বাচনে জিতে যাবে এমনটা কেউ আশা করছে না। কিন্তু পরাজিত হলেও তার প্রার্থীরা যদি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জিতে আসতে পারে, তাহলে সেটা তাকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে দর কষাকষির শক্তি এনে দেবে। এছাড়া তিনি পিপিপি, জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলোর সঙ্গেও সমঝোতায় গিয়ে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে পারেন। সুতরাং ইমরান খানের রাজনীতির ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যায়নি।
পাকিস্তানে এর আগেও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার, এমনকি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ারও ইতিহাস আছে। পরে আবারও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতায় রাজনীতিতে ফিরে আসার নজিরও আছে। নওয়াজ শরিফ নিজেই একাধিকবার সে উদাহারণ তৈরি করেছেন। ফলে যে কোনো নতুন রাজনৈতিক দৃশ্যপটে ইমরান খানেরও সে সুযোগ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর যে নিয়ন্ত্রণ, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো খুব সহসাই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।
এদিকে, নির্বাচনের ফলে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ব্যারিস্টার গওহর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। দ্য সিয়াসাতের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিটিআইয়ের এ নেতা বলেন, ইমরান খানই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করবেন। তিনি সবসময় নেতা, তাতে তিনি জেলে থাকেন অথবা বাইরেই থাকেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।