আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে ইমামতিকে একটি স্বীকৃত পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে ফ্রান্স সরকার। এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে ইমামদের কাজকে একটি প্রতিষ্ঠিত ও কাঠামোবদ্ধ পেশা হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া, ইমামদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্মপরিধি নির্ধারণে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় এ তথ্য।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো দেশটিতে ইমামতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ যা প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে ইমামদের ভূমিকাকে সরকারি স্বীকৃতি দিচ্ছে।
রেতাইয়ো এই ঘোষণাটি ফরাসি ইসলাম ফোরামের (এফওআরআইএফ) দ্বিতীয় বৈঠকের সমাপনী অধিবেশনে দেন। ফোরামটি মূলত ফ্রান্সে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গঠিত একটি সংস্থা।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও মুসলিম ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে সংলাপ পারস্পরিক আস্থা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া উচিত। এছাড়া, মুসলিমরা যাতে কোনো উগ্র মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত না হয় এবং সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত হয়, সেটিই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
এই স্বীকৃতি মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং ইসলামবিদ্বেষ রোধেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে কিছু মহল থেকে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনাও হতে পারে। কারণ, ফ্রান্সে ধর্মীয় বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
ফ্রান্সের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি ফ্রান্স সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইমামদের পেশাগত স্বীকৃতি, কর্মসংস্থান সুবিধা এবং ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় সরকারের দায়বদ্ধতা বাড়ানোর প্রতিফলন ঘটায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি যা তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকারকে আরও সুসংহত করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।