জুমবাংলা ডেস্ক : মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবাদুর রহমানের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়েই কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙে মাদ্রাসার দুই ছাত্র। নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে হাতুড়ি সংগ্রহ করে পাঁচ রাস্তার মোড়ে যায় তারা।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা জানায় মিঠুন ও নাহিদ।
অভিযুক্ত মাদরাসাছাত্র নাহিদ ও মিঠুনকে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বিচারক দেলোয়ার হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় তারা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। পরে দুইজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
জবানবন্দিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিস্তারিত তুলে ধরে মিঠুন ও নাহিদ। ঘটনার দিন শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবাদুর রহমানের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়েই ভাস্কর্য ভাঙচুরের পরিকল্পনা করে বলে স্বীকার করে দু’জন।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত বলেন, ‘এই ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষকরা পুলিশকে মিস গাইড করেছে এবং আসামিদেরকে তারা পালাতে সাহায্য করেছে। তাদের আরও ব্যাপারগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি যে, সরাসরি কিংবা অন্য কোনো দিক থেকে তারা আসামিদের সঙ্গে জড়িত কিনা। যার নামই আসবে তদন্তে তাকেই আমরা আইনের কাছে সোপর্দ করব।’
গত ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে, কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে শনাক্তের পর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।