ক্যারিবিয়ান ডোমানিকা দ্বীপের বাসিন্দাদের কাছে ইম্পেরিয়াল আমাজন পাখি মহিমান্বিত হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পাখিটিকে আবার অ্যামাজোনা ইম্পেরিয়ালিস নামেও ডাকা হয়। বিরল প্রজাতির পাখিদের মধ্যে এটি অন্যতম।
বৃহত্তম তোতাপাখির যতটি জাত রয়েছে তার মধ্যে এটি একটি। এ পাখির দৈর্ঘ্য ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ডানা ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তাদের দেহে উজ্জ্বল সবুজ রঙের পালক রয়েছে। এ প্রজাতির পাখির স্বতন্ত্র স্টাইলের চেহারা রয়েছে।
ইম্পোরিয়াল আমাজন পাখির ঠোট হয় বাঁকানো এবং বেশ শক্তিশালী। বাদাম এবং বীজ ফাটিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রাখে এদের ঠোঁট। ইম্পোরিয়াল আমাজন পাখিটি বর্তমানে বিপন্ন প্রজাতির পাখি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তাদের বাসস্থানের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এটি তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রধান হুমকি। কৃষিকাজ ও উন্নয়ন প্রজেক্ট এর কারণে বনগুলি উজাড় করা হচ্ছে। তাছাড়া মানুষ এ পাখিটিকে শিকার করার কারণে জনসংখ্যাও কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার এ পাখিটির আবাসস্থল রক্ষা করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বন পুনরুদ্ধার এবং পাখির সঠিক বিকাশ যেন ঘটে সেজন্য সুরক্ষিত এলাকা স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
ইম্পোরিয়াল আমাজন পাখিটি যেনো বিলুপ্ত হয়ে না যায় সেজন্য স্থানীয় সম্প্রদায় ইকোট্যুরিজম প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রজাতির পাখিটি ডোমানিকা দীপাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে এবং দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের জীব বৈচিত্রের জন্য ইম্পোরিয়াল আমাজন পাখিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বীজ সঠিক স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া এবং উদ্ভিদের পরাগায়নের ক্ষেত্রে পাখিটির অবদান রয়েছে।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপ অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র যেন বৈচিত্রময় থাকে তার জন্য পাখিটির বিলুপ্ত না হওয়াটা জরুরি। যদি আপনার কখনো ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে বনের মধ্যে এ সুন্দর পাখি দেখা সম্ভব হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।