ক্যানসার সৃষ্টির ঝুঁকি কম মানে কিন্তু এই নয় যে ঝুঁকি একেবারে নেই। এটা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। আপনার তারহীন যন্ত্র থেকে কত বিকিরণ বের হচ্ছে, তা নির্ভর করছে আপনি কত সময় ইয়ারবাড ও ফোন ব্যবহার করছেন। এসব যন্ত্র আপনার শরীরের কোথায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া আপনার ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা, তা আপনার পারিবারিক ইতিহাস, ওজন, খাবারদাবার, অসুস্থতা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে।
ইয়ারবাডের কারণে অন্য অসুবিধা
ইয়ারবাড ব্যবহারের কারণে ক্যানসার না হতেই পারে, কিন্তু অন্য অসুখ-বিসুখ যে হয় না, তা কিন্তু নয়। ব্রাইয়া কলিনস নামের একজন শ্রবণ-বিশেষজ্ঞ বলছেন, ইয়ারবাডের কারণে নিচের অসুবিধাগুলো হতে পারে।
১. শ্রবণশক্তি হ্রাস
যখন আপনি ইয়ারবাড ব্যবহার করছেন, তখন কানের পর্দার একেবারে কাছে শব্দ তৈরি হচ্ছে। এটা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তীব্র শব্দ তৈরি করছে। তাই দীর্ঘ সময় ইয়ারবাড ব্যবহারে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।
২. কানে শোঁ শোঁ শব্দ শোনা
ইয়ারবাড ব্যবহারের কারণে আপনার কানের ভেতরে শোঁ শোঁ শব্দ শোনার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। মনে হতে পারে, কানের ভেতর কোনো কিছু একটানা বেজে চলেছে।
৩. কানে মোম জমা
কানে মোম জমাট বাঁধা নির্ভর করে আপনার কানের নালির আকার কেমন এবং আপনি কত বড় বা ছোট আকারের ইয়ারবাড ব্যবহার করছেন, তার ওপর। কানে মোম জমাট বাঁধলে কানের মধ্যে চাপ, ব্যথা বা কম শুনতে পাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৪. কানে সংক্রমণ
ইয়ারবাড বারবার ভেতরে ঢোকানোর কারণে এর মাধ্যমে কানের ভেতরে জীবাণু ঢুকতে পারে। এই জীবাণু কানের ভেতরের আর্দ্র ও উষ্ণ পরিবেশে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমিত হয়। তাই একজনের ইয়ারবাড অন্যের ব্যবহার করাও ঠিক নয়।
৫. কানব্যথা
যদি আপনার ইয়ারবাড বেশি বড় বা এটা আপনার কানের সঙ্গে মাপমতো না হয়, তবে তা আপনার কানব্যথার কারণ হতে পারে। এ জন্য আপনার কানে অস্বস্তি হতে পারে। অনেক সময় কানে ফোসকাও পড়তে পারে।
ইয়ারবাড ব্যবহারে যদি এত অসুবিধা, তাহলে কি এটা বাদ দেবেন? না বাদ দিলে এর সমাধানই-বা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতত এর সমাধান একটাই। তা হলো, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণই শুধু ইয়ারবাড ব্যবহার করা। যখন দরকার নেই, তখনই এটা খুলে রাখতে হবে। যখন কথা বলা, গান শোনা শেষ, তখন ইয়ারবাড কানে রাখা যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।