আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সমরাস্ত্র শিল্পে ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে ইরান। বিশেষ করে, ড্রোন শিল্পে দেশটি বিপ্লব ঘটিয়েছে বলে খোদ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। এর মধ্যে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট অবাক করা তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নানা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাইরে নিজের উন্নত অস্ত্রের বিস্তার ঘটাচ্ছে ইরান।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শুক্রবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ইরান তার ড্রোন এবং প্রিসিশন গাইডেড মিউনিশন (নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম যুদ্ধাস্ত্র) বিক্রির বিষয়ে অন্তত ৫০টি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং ইরাক ও সিরিয়ার ইরানসমর্থিত যোদ্ধারা ইরানের উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দেশই গোপনে ইরানি অস্ত্র সংগ্রহ করেছে।
এমনই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব সাগরে ইসরাইলি মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা হয়েছে। হামলার সঙ্গে ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তেহরান এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
একটি আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আরব সাগরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। সূত্রটি বলেছে, হামলায় সম্ভবত ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি অ্যামব্রে ইন্টেলিজেন্স বলেছে, মানববিহীন বিমান ব্যবস্থা তথ্য আনম্যান এরিয়াল ভেহিকল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ওই সময় আরব সাগরে দুটি ট্যাঙ্কার এবং একটি বাল্ক ক্যারিয়ার ছিল। এর মধ্যে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ইসরাইলি মালিকানাধীন এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
সিকিউরিটি কোম্পানিটি আরও বলেছে, হামলার সঙ্গে ইরান জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিগত বছরগুলোতে একই ধরনের বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনার পেছনে ইরানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ইরানের ইস্পাহান শহরের একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়। ওই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান। সেই সঙ্গে প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার করে দেশটি।
প্রসঙ্গত, তেহরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে অস্ত্র সরবরাহ এবং সম্প্রতি দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়নের অভিযোগে ইরান এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।