জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বগুড়ায় শতবছরের ঐতিহ্যবাহী আকবরিয়া হোটেলে বসে বগুড়ার প্রসিদ্ধ দইয়ের স্বাদ নিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। তিনি দইয়ের স্বাদের ভূয়সী প্রশংসা করে ইরানে বগুড়ার দই তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আকবরিয়া হোটেলে রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আকবরিয়া হোটেলে অবস্থান করেন রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। তিনি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বগুড়ার দইয়ের অনন্য স্বাদের প্রশংসা করেন। ইরানে বগুড়ার দই তৈরি ও সেমাই বাজারজাতকরণে আগ্রহ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত হোটেল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হোটেলটির মধ্যরাতে মুসাফির ও দরিদ্রদের জন্য খাবার পরিবেশন এবং দরিদ্র শিশুদের নিয়ে ৭৫টি মক্তব পরিচালনার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। আকবরিয়া হোটেলের চেয়ারম্যান হাসান আলী তাঁদের ১১৩ বছরের ব্যবসার ইতিহাস তুলে ধরেন।
আতিথেয়তায় মুগ্ধ রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বলেন, বগুড়ার মানুষের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। বগুড়ার সুস্বাদু দই তাঁর অন্যতম পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঐতিহাসিক খেড়ুয়া মসজিদ পরিদর্শন
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি ও তাঁর স্ত্রী জাহেরা চাভোশি শেরপুর উপজেলার ঐতিহাসিক খেড়ুয়া মসজিদ পরিদর্শন করেন। তাঁরা মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হন। মুঘল স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত এই মসজিদ বাংলার মুসলিম স্থাপত্য ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।
রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশির বগুড়া সফরে আকবরিয়া হোটেলের আতিথেয়তা, বগুড়ার দইয়ের স্বাদ এবং ঐতিহাসিক খেড়ুয়া মসজিদ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে আন্তরিকতা ও সংস্কৃতির সংযোগ আরও দৃঢ় হয়। রাষ্ট্রদূতের এ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলবে বলে আশা করা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।