প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে পা রাখার স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করছিল ফিলিস্তিন। সাউথ কোরিয়া ও জর্ডান আগেই বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করায় গ্রুপ ‘বি’-তে বাকি ছিল দুটি প্লে-অফ স্পটের লড়াই। একটি দখল করে নেয় ইরান। আর অন্যটি ছিনিয়ে নিতে ফিলিস্তিনের ছিল শেষ সুযোগ। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের ৯৪ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা—স্বপ্নটা তখন একেবারে হাতের মুঠোয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঘটে সেই ট্র্যাজেডি, যা পুরো দৃশ্যপটই পাল্টে দেয়।
শেষ বাঁশি বাজার ঠিক ৩০ সেকেন্ড আগে এক বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থমকে দেয় ফিলিস্তিনকে। ইরানিয়ান রেফারি মুদ বনিয়াদিফার্দের সে সিদ্ধান্ত বদলায়নি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)। ৯৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ওমানকে প্লে-অফে নিয়ে যান ইসাম আল সাভি।
এতে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে ফিলিস্তিন। ওমান ১১ পয়েন্ট নিয়ে চারে ছিল।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাননি ফিলিস্তিনের ফুটবলাররা; নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই নামতে হয়েছে তাদের। তবুও লড়াইয়ে কোনো ঘাটতি রাখেনি দলটি। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ওদে খারুবের গোলে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। ৭৩ মিনিটে ওমানের হারিব আল সাদি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। কিন্তু এক খেলোয়াড় কম নিয়ে খেললেও পেছনে হটেনি ওমান। শেষ সময় পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণে ফিলিস্তিনের রক্ষণভাগে চাপ তৈরি করে গেছে দলটি।
৯৫ মিনিটে বক্সে উড়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে পড়ে যান মুহসেন আল ঘাসানি। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যদিও ভিডিও রিপ্লে দেখে বোঝা যায়নি পেনাল্টি দেওয়ার মতো ফাউল হয়েছে কি না। পেনাল্টি থেকে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠালে হৃদয় ভাঙে ফিলিস্তিনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।