আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সামনে শেষ সুযোগ। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরান যেন নতুন করে কোনও স্ট্র্যাটেজি তৈরি না করে। হুঁশিয়ারি দিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। খবর ডয়চে ভেলের।
সোমবার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে সই করা দেশগুলি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছিল। ইরানের প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মাস এই হুঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাইডেন নির্বাচনী প্রচারেই জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে পুরনো পরমাণু চুক্তি নিয়ে আবার আলোচনা করবেন।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রশাসন পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। ট্রাম্প বলেছিলেন, ইতিহাসে এই পরমাণু চুক্তি সবচেয়ে হাস্যকর। বস্তুত, তার পরেই ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
বাইডেন ট্রাম্পের সেই স্ট্র্যাটেজি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। ফের পরমাণু চুক্তিতে যুক্ত হতে চান। একেই মাস ইরানের শেষ সুযোগ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
বস্তুত তার বক্তব্য, এতদিন ইরানের উপর চাপ সৃষ্টির যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল অ্যামেরিকা, এবার তা থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। কিন্তু তার জন্য ইরানকেও নিজেদের অবস্থান বদলাতে হবে।
মাসের বক্তব্য সমর্থন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার বক্তব্য, ইরান যে নীতি নিয়েছে, তা থেকে তাদের সরে আসতে হবে।
সম্প্রতি ইরানের পার্লামেন্টে পরমাণু আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে স্থির হয়েছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করা হবে। ইরানের সেই প্রস্তাব নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে সাড়া পরে যায়। সোমবার সে কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরানকেও সেই অবস্থান থেকে সরতে হবে।
জো বাইডেন পরমাণু চুক্তি নিয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন, তার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। বস্তুত, তার সিদ্ধান্তের উপর বিশ্ব কূটনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে পরিস্থিতি বদলানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।