মাছের বাজারে দাম কিছুতেই কমছে না। মাছের সরবরাহ পূর্বের থেকে বাড়লেও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে দাম। শীতকাল শেষ হওয়ার পথে। তাই সবজির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।
গরিব মানুষের জন্য মুরগির বাজারে আশার কিছু নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ নিয়ে সংকট। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বেড়েছে বিশ টাকা। আপনি এক কেজি মুরগি কিনতে হলে ২২০ টাকা খরচ করতে হবে। সোনালি মুরগি ক্রয় করতে হলে ৩৪০ টাকা ব্যয় করতে হবে।
গ্রীষ্মকালীন সবজি আস্তে আস্তে বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। বরবটি, পটল বা করোলা ক্রয় করতে হলে ১০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে। ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হলেও উৎপাদকরা খুশি নন।
তাই তারা কৃত্রিম সংকট তৈরীর পাঁয়তারা করছে। চালের দাম পূর্বের থেকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নাজিরশাইল চাল কিনতে হলে কেজিতে ৭৬ থেকে ৮৮ টাকা আপনাকে খরচ করতে হবে।
স্থিতিশীল অবস্থায় আছে গরু আর খাসির মাংসের বাজার। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য দিতে হবে সাড়ে সাতশো আর খাসির মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে গুণতে হবে ১১শ’ টাকা। স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৩৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শোল, বোয়াল, আইড়, বাইন নানান জাতের মাছে ভরপুর রাজধানীর মাছ বাজারগুলো। অথচ যোগান বৃদ্ধির প্রভাব নেই দামে। নদ-নদীর এসব মাছ ক্রেতার নাগালের বাইরে। ৮শ’ থেকে হাজার টাকা কেজির নীচে মিলছে না। দামে খুব একটা হেরফের নেই চাষের রুই-কাতলাতেও। আকারভেদে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি।
অস্থির হয়ে ওঠা ইলিশের বাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৮০০-১৯০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।