জুমবাংলা ডেস্ক : ইলিশ, বাংলাদেশের পরিচয় বহনকারী একটি জাতীয় সম্পদ, যা তার বৈশিষ্ট্য ও স্বাদে বিশ্বে সমাদৃত। এই মাছ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পৃথিবীর বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনাকারী একটি উপাদান। জামদানি শাড়ির পর ভৌগোলিক পরিচয় বহনকারী পণ্য হিসেবে সম্প্রতি ইলিশও যুক্ত হয়েছে। ফলে এই মাছ আমাদের একান্তই নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আর কোনো বাধা নেই।
বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। ভারতে ১৫ শতাংশ, মিয়ানমারে ১০ শতাংশ, আরব সাগর তীরবর্তী দেশগুলো এবং প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতেও বাকি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ আছে, বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই ইলিশের উৎপাদন দিন দিন কমছে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে বলে গত কয়েক বছরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ২০১৫ সালে করা ওয়ার্ল্ড ফিশের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুষ্টির দিক দিয়ে ইলিশের জুড়ি মেলা ভার। প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশে ১০২০ কিলো জুল (শক্তির একক) শক্তি থাকে। তাতে ১৮ থেকে ২২ গ্রাম চর্বি, ২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১৪.৪ গ্রাম প্রোটিন, ২.৪ মিলিগ্রাম আয়রন, সামগ্রিক ফ্যাটি অ্যাসিডের ১০.৮৩ শতাংশ ওমেগা–৩ থাকে। ওয়ার্ল্ড ফিশের হিসাবে ওমেগা–৩ পুষ্টিগুণের দিক থেকে স্যামন মাছের পরই ইলিশের অবস্থান। শুধু দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার প্রায় ২৬ কোটি মানুষ ইলিশ মাছ খায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা
সঠিকভাবে যদি এই মাছের দিকে আমরা নজর না দিই তাহলে পয়লা বৈশাখসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও সামাজিক উৎসবে ইলিশ মাছের চাহিদার কারণে অদূর ভবিষ্যতে এই মাছের কথা আমরা শুধু বই–পুস্তকে দেখতে পাব, বাস্তবে আর ইলিশ মাছ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।