বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বাদ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কারণে ক্ষমা চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এবারের নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তার প্যানেলের চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বিপরীত প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দেশব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
জায়েদের প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন ডিপজল, রুবেল, মৌসুমী, রোজিনারা। এদিকে শুধুমাত্র নিজের প্যানেলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় হাজির হন জায়েদ খান। সেখানে ছিলেন না নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তার প্যানেলের অন্য জয়ী প্রার্থীরা।
সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন জায়েদ খান নিজেই। এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বির্তকের ঝুলিতে আরো একটি জমা করেন জায়েদ খান। সিনেপাড়ায় প্রশ্ন ওঠে, সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনকে কি মেনে নিতে পারেননি জায়েদ খান?
এতে জায়েদ ও কাঞ্চনের মধ্যে বিভেদটি যেন আরো স্পষ্ট হলো বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ। এবার সেই বিষয়ে বক্তব্য দিলেন জায়েদ খান। সভাপতিকে ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যাওয়াকে নিজের ভুল বলে স্বীকার করলেন তিনি। শিল্পী সমিতির এই দুই নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খানকে নিয়ে বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন অভিনেতা ও উপস্থাপন শাহরিয়ার নাজিম জয়। যা তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করেন তিনি।
সেই অনুষ্ঠানে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে ক্ষমা চান জায়েদ খান। এ সময় জায়েদ খানকে থামিয়ে দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আসলে এখানে ভুলটা হয়েছে বলেই এই কনফিউশন তৈরি হয়েছে। বিষয়টা প্রথমে আমার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছিল। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো মনে করতে পারেন, আমি ইচ্ছা করেই যাইনি। একটা বিভক্তির দেখা তবে বিষয়টি তাদের ভুল। ওই সময় এটা করেছে।
এ সময় জায়েদ খান বলেন, আমরা আসলে ওই সময় ওখানে ছিলাম। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলাম। মন্ত্রীকে আমরা বলেছি, আমরা এখন শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আসিনি, এখানে ছিলাম, তাই আপনাকে সালাম করে গেলাম। আমরা শপথ গ্রহণের পর কাঞ্চন ভাইকে নিয়ে পুরো কমিটি আসব। একই কথা তথ্যমন্ত্রীকেও বলেছি আমরা।
ইলিয়াস কাঞ্চনকে সহযোগিতা করার প্রশ্নে জায়েদ খান বলেন, কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে আমার গত দুই টার্মে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি আমাদের শিল্পী সমিতির দুইবারের উপদেষ্টা ছিলেন। যে কোনো ক্রাইসিসে তিনি এগিয়ে এসেছেন, আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।করোনার সময় কেউ যখন ঘর থেকে বের হতে চাইতো না, তখন কাঞ্চন ভাই এসেছেন। তিনি বলেছেন – তোমাদের জন্য, চলচ্চিত্রের স্বার্থে এই মহামারির সময়ে বের হয়েছি।
এ চিত্রনায়ক আরো বলেন, কাঞ্চন ভাই মহাসড়কের যোদ্ধা। চলচ্চিত্রের সিনিয়রদের অন্যতম। তিনি এখন শিল্পী সমিতির অভিভাবক। আর ২১ জনের সরাসরি অভিভাবক। তার অভিজ্ঞতার আলোকে তার নির্দেশে আমরা চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। এখন আর দুই প্যানেল, প্রতিদ্বন্দ্বী এসব কিছু নেই। এখন শিল্পীরা সবাই একটা পরিবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।