ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির আয়ু শেষ হলে তা ফেলে দেওয়া হয় না। এই ভারী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা হয়। বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো এগুলো থেকে লিথিয়াম, নিকেল ও কোবাল্টের মতো মূল্যবান ধাতু পুনরুদ্ধার করে।
এই প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব এবং সম্পদ সাশ্রয়ী। বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ব্যাটারি রিসাইক্লিংয়ের গুরুত্বও বাড়ছে। Reuters এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইভি ব্যাটারি রিসাইক্লিং কিভাবে কাজ করে?
ব্যাটারি রিসাইক্লিং একটি জটিল প্রক্রিয়া। প্রথমে ব্যাটারি প্যাকটি সাবধানে খুলে আলাদা করা হয়। তারপর ভেতরের কোষগুলো থেকে মূল্যবান ধাতু বের করা হয়।
রিসাইক্লিং প্লান্টে উচ্চ তাপমাত্রা বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ধাতুগুলো আলাদা করা হয়। Redwood Materials নামক প্রতিষ্ঠান ৯৫% পর্যন্ত উপাদান পুনরুদ্ধার করতে পারে। এই recovered materials নতুন ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
পুরনো ব্যাটারির দ্বিতীয় জীবন সম্ভব?
গাড়িতে ব্যবহারের অনুপযোগী ব্যাটারিও অন্য কাজে লাগানো যায়। সৌরশক্তি সংরক্ষণ কিংবা জরুরি বিদ্যুৎ Backup system হিসেবে এগুলো কাজে লাগে। অনেক কোম্পানি এই ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
তবে বাণিজ্যিকভাবে এই ধারণা এখনও সীমিত। নতুন ব্যাটারির দাম কমে যাওয়ায় পুরনো ব্যাটারি পুনর্ব্যবহারের আর্থিক সাশ্রয়ীতা একটা চ্যালেঞ্জ। Bloomberg এর মতে, ভবিষ্যতে এই খাত আরও বিকশিত হবে।
ব্যাটারি রিসাইক্লিংয়ের ভবিষ্যৎ
গবেষকরা আরও কার্যকর রিসাইক্লিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন। Hydrometallurgical পদ্ধতি ব্যবহার করে কম শক্তিতে রিসাইক্লিং করা সম্ভব। এতে পরিবেশের ক্ষতি কম হয়।
ভবিষ্যতে ব্যাটারি ডিজাইনই হবে রিসাইক্লিং উপযোগী। Standardized প্যাক এবং সহজে আলাদা করা যায় এমন Materials ব্যবহার করা হবে। এটি **ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি** রিসাইক্লিংকে আরও সহজ করবে।
জেনে রাখুন-
ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির আয়ু কত?
একটি ইভি ব্যাটারি সাধারণত ৮ থেকে ১০ বছর ব্যবহারযোগ্য থাকে। তারপরও এর কার্যক্ষমতা ৭০-৮০% থাকে।
ব্যাটারি রিসাইক্লিং কি পরিবেশবান্ধব?
হ্যাঁ, রিসাইক্লিং খনিজ পদার্থ উত্তোলনের চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব। এটি কার্বন নিঃসরণ কমায় এবং প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচায়।
বাংলাদেশে ইভি ব্যাটারি রিসাইক্লিং হয় কি?
বাংলাদেশে এখনও বড় আকারের ইভি ব্যাটারি রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে ওঠেনি। তবে ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনা রয়েছে।
রিসাইক্লিং থেকে কোন ধাতুগুলো পাওয়া যায়?
লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ এবং তামা প্রধানভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়। এগুলো নতুন ব্যাটারি তৈরির মূল কাঁচামাল।
ইভি ব্যাটারি রিসাইক্লিং কি লাভজনক?
হ্যাঁ, মূল্যবান ধাতু পুনরুদ্ধার করতে পারলে রিসাইক্লিং লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে কোবাল্ট এবং লিথিয়ামের দাম বেশি থাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।