আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম পাঠাতে অনুরোধ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল (রোববার) ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে এ অনুরোধ জানান। খবর পার্সটুডে’র।
আয়রন ডোমের প্রশংসা করে জেলেনস্কি বলেন, আয়রন ডোম হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এসময় তিনি জানতে চান- ইসরাইল কেন এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠায়নি? তিনি ইসরাইলের কাছে আয়রন ডোম পাঠানোর অনুরোধের পাশাপাশি এই যুদ্ধে ইসরাইলিদের সাহায্য চেয়েছেন।
জেলেনস্কি তার ভাষণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরাইল কেন এখনো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি? ইসরাইলকে অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এবং এরপর তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘ক্রেমলিনের মুখের ভাষা শুনুন। তারা নাৎসিদের পরিভাষা ব্যবহার করছে। ইহুদি প্রশ্নে চূড়ান্ত সমাধানের কথা আপনাদের ভালোই স্মরণ আছে। মস্কো এখন কী বলছে শুনুন। চূড়ান্ত সমাধানে এখন সেসব পরিভাষা আবার ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সেটা এখন আমাদের লক্ষ্য করে ইউক্রেন বিষয়ে। তারা দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসব কথা বলছে।’
‘ইহুদি ও ইউক্রেনীয়দের অভিজ্ঞতার সরাসরি তুলনা করা চলে’ উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা পৃথক দেশ ও পুরোপুরি ভিন্ন বাস্তবতায় আছি, কিন্তু আমরা একাই হুমকি মোকাবিলা করছি।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন কেবলই একটি সামরিক অভিযান নয়, যেমনটা মস্কো বলে আসছে। এটা সর্বাত্মক ও অন্যায্য যুদ্ধ, যার উদ্দেশ্য আমাদের জনগণকে ধ্বংস করে দেওয়া। রাশিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, আর গোটা বিশ্ব তা কেবলই দেখছে। তাই আমাদের আর তোমাদের (ইহুদিদের) ইতিহাসকে আমি একইভাবে দেখতে ও তুলনা করতে পারি।’
ইসরাইলের পার্লামেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার পরে দেওয়া নিয়মিত রাত্রিকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি আলোচনার জন্য জেরুজালেম ভালো ভেন্যু হতে পারে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘সংলাপ আয়োজনের একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। আমরা তাঁর এ প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ। আগে হোক, পরে হোক আমরা খুব সম্ভবত জেরুজালেমে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।