আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ‘অপারেশন আল-কুদস শোর্ড’ ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করেছে। গত বছরের মে মাসে চালানো ওই অভিযানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার গাজা উপত্যকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি একথা বলেন। খবর পার্সটুডে’র।
হানিয়া বলেন, ওই অভিযানে গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো খাপ থেকে তাদের তরবারিগুলো বের করে ইসরাইলের গভীরতম অবস্থানগুলোতে হামলা চালিয়েছিল।
হামাস নেতা বলেন, আল-কুদস শোর্ড অভিযান এতটা গুরুতর ছিল যে, তা শুধু ইসরাইলকে নয় বরং মধ্যপ্রাচ্য ভেদ করে আন্তর্জাতিক সমাজকে নাড়া দিতে পেরেছিল। ইসমাইল হানিয়া বলেন, হামাস’সহ অন্যান্য প্রতিরোধ আন্দোলন ওই অভিযানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিতে পেরেছিল।
ফিলিস্তিনের সাবেক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হানিয়া বলেন, প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ওই অভিযানে যুদ্ধকে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে নিয়ে যেতে এবং প্রতি ইঞ্চি দখলীকৃত ভূমিতে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছিল।
২০২১ সালের ১০ মে গাজা উপত্যকায় সর্বশেষ আগ্রাসন চালায় ইহুদিবাদী ইসরাইল। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় ‘অপারেশন আল-কুদস শোর্ড’ অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয় গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। তারা ইসরাইল অভিমুখে কয়েক হাজার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
ফিলিস্তিনিদের ওই পাল্টা হামলায় ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরের মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।এক সময় যে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইট বা পাথর সেই ফিলিস্তিনিরা আজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরাইলে আঘাত হানছে যা ইহুদিবাদীদের পাশাপাশি তাদের দোসরদের অন্তরে কম্পণ সৃষ্টি করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।