আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর গাজায় ইসরাইলের সাথে সমন্বয় করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফাতাহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ওই বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেফতারেরও দাবি করেছে তারা।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে। তবে তাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা।
হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ত্রাণের ট্রাকের আড়ালে উত্তর গাজায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।
হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা আল-আকসা টিভিকে বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গোয়েন্দা প্রধান মাজেদ ফারাজ বাহিনীটির মিশন তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ওই বাহিনীতে ছয় সদস্য ছিলেন। তারা মিসরের সাথে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে আসা ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে এসকর্ট করেছিল। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ বাহিনী অন্য সকল সদস্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
হামাস কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সন্দেহভাজন নিরাপত্তা বাহিনী ইসরাইলি বাহিনীর সাথে তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে সমন্বয় করেছিল।’ তবে তিনি তার এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি।
ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের বিষয়ে তথাকথিত হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ভুল।’
তিনি বলেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এখন হামাসের এসব ভুল বিবৃতির উত্তর দিতে আগ্রহী নয়। কারণ, এর মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের দুর্ভোগ এবং তারা যে হত্যা, অনাহার এবং বাস্তুচ্যুতিতে আছে, তার থেকে মনোযোগ সরে যাবে।
হামাসের আল-আকসা টিভি তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেছে, পুলিশ অফিসার এবং উগ্রবাদী গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, কোনো বাহিনী তাদের সাথে সমন্বয় ছাড়াই যদি গাজায় প্রবেশ করে, তাহলে তাদের সাথে যেন ‘দখলকারী বাহিনী’ হিসেবে আচরণ করা হয়।
সূত্র : আরব নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।