আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করবে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে সম্মত হয়েছে ।
এক যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহইয়ান জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা এই ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
এই শান্তিচুক্তির ফলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এই সমঝোতার আগে ইসরায়েলের সঙ্গে পারস্য উপসাগরীয় কোনো দেশেরই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল ও আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও দূতাবাস স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।
এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু টুইটারে দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। উত্তেজনা নিরসনে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।