মার্কিন প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিসে ইসরাইলি বিমান হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। হামাসের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তবে মূল লক্ষ্য খলিল আল-হাইয়া বেঁচে গেছেন।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দোহায় ইসরাইলি হামলায় খলিল আল-হাইয়া শহীদ হননি, তিনি বেঁচে গেছেন। হামাসের দাবি, তিনি শুক্রবার তার ছেলের জানাজায় অংশ নিয়েছেন, যা প্রমাণ করে হামলার লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়নি।
এই হামলা মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজার যুদ্ধবিরতি এবং দুই বছর ধরে চলা সংঘাত সমাধানের আলোচনায় বড় বাধা সৃষ্টি করেছে। হামলার পর ট্রাম্প ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কাতারকে আশ্বস্ত করেন যে এ ধরনের হামলা পুনরায় হবে না।
দোহায় হামলায় নিহতদের মধ্যে তিনজন হামাসের দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন। হামলা বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।
হামলার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া ও গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।