আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্য প্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চীন ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু কং শুক্রবার এক জরুরি নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের” অভিযোগ এনে বলেছেন, “এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ানো কারও স্বার্থে নয়।” খবর সিএনএন
ফু কং তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “চীন ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং সংঘাত বাড়ানোর যে কোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে। আমরা ইসরায়েলকে সকল ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে উত্তেজনা আর না বাড়ে।” তিনি সকল পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
এই বক্তব্যের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলার সম্ভাব্য “ভয়াবহ পরিণতি” নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বেইজিংয়ের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তাদের ঐতিহ্যগত ভারসাম্য বজায় রাখার নীতিরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত কয়েকদিন ধরে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তীব্র হওয়ায় জাতিসংঘের এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। ফু কং তাঁর বক্তব্যে আরও যোগ করেন, “সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আমরা সকল পক্ষকে সংযম ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের, তেহরানে বিমানবন্দরে আগুন
চীনের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক প্রভাবের মধ্যে এই হস্তক্ষেপ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তপ্ত মধ্য প্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে চীনের এই কূটনৈতিক উদ্যোগ কি কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে? নাকি ইসরায়েল-ইরান সংঘাত আরও গভীর হবে? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন জাতিসংঘের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।