ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার গভীর রাতে চালানো ওই হামলায় মারাত্মক ধ্বংসাত্মক এই প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল ও বিবিসি।
হামলার সময় ইসরায়েলের আকাশে সক্রিয় ছিল চার স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা— মার্কিন প্রযুক্তির ‘থাড’, ‘আয়রন ডোম’, ‘অ্যারো’ ও ‘ডেভিড’স স্লিং’। তবে সবগুলো প্রতিরক্ষা ব্যর্থ হয়ে মিসাইলটি তেল আবিবে আঘাত হানে। বিস্ফোরণের সময় গভীর রাতে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার পরপরই ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ক্লাস্টার ওয়ারহেড ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছরের সংঘাতে এই প্রথমবার হুতি বিদ্রোহীরা এমন অস্ত্র প্রয়োগ করল।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত মিসাইল প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক। এসব অস্ত্র মাটির ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছেই বহু ক্ষুদ্র সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয়, যা বিস্ফোরিত হয়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। ছোট ছোট বিস্ফোরণ একাধিকবার ঘটায়, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এটি ধ্বংস করা হয়ে পড়ে অত্যন্ত কঠিন।
ইসরায়েলি মিডিয়ার বরাতে জানা গেছে, ক্লাস্টার ওয়ারহেডের এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো মিসাইলটিকে ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইরানের কাছ থেকেই এই ধরনের অস্ত্র পেয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে ইরানও ইসরায়েলে ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত মিসাইল হামলা চালিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।