আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের মাথার ওপর যেন বিপদেময় ঝড় বইছে। সম্প্রতি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানলের ভয়াবহতা নিয়ে ইসরায়েল এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে। এই পরিস্থিতি দেশটির জন্য অপ্রত্যাশিত বিপর্যয় ঘটাচ্ছে।
হুথিদের পরিকল্পিত হামলার নেপথ্য
হুথি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে তাদের ইতিহাসের অন্যতম বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করেছে। এই আক্রমণে ব্যবহৃত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—আয়রন ডোম বা অ্যারো সিস্টেমকে ফাঁকি দেয়। এই হামলায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে এবং কয়েকজন মানুষ আহত হন। হুথিদের এই হুমকিতে ইসরায়েল তাদের প্রতিরক্ষার দিক থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ইয়েমেনের হুথি বাহিনী এই হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজার প্রতিশোধ নেয়ার দাবি করেছে। তারা বলেছে যে তাদের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চলবে, যতদিন গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলমান থাকবে। এই হুমকি ইসরায়েলকে সীমান্তের বাইরে থেকে আঘাতের শিকার করছে, যা দেশটির জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণাঞ্চলের দাবানলে জর্জরিত ইসরায়েল
হুথিদের হামলার সাথে সাথে ইসরায়েলকে এখন সামলাতে হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এক পাহাড়ি অঞ্চলে শুরু হওয়া আগুনের কারণে ৫,০০০ একরেরও বেশি বনভূমি বিনষ্ট হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের প্রকোপে শত শত পরিবারকে সরিয়ে নিতে হয়েছে, বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাস চারপাশের জনজীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার প্রতিশ্রুতি এবং প্রতিবন্ধকতা
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে যারা দেশটির নিরাপত্তাকে আক্রমণ করছে তাদেরকে সাতগুণ মাশুল গুনতে হবে। তবে হুথির মতো উচ্চ মনোবলসম্পন্ন গেরিলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কেবলমাত্র প্রতিশোধের হুমকি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দিহান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের আক্রমণকারীদের মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনারা তাদের সক্ষমতাকে দ্বিগুণ করার উপায় খুঁজছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অচলাবস্থা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝামাঝি সমাধান খুঁজতে হবে। দেশটির নিরাপত্তার কৌশলগুলিকে উন্নত করার চাপের মধ্যে তাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আরও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল কীভাবে হুথিদের হামলার মোকাবেলা করছে?
ইসরায়েল তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলকে সর্বোচ্চ উন্নয়নশীল করে তুলতে সচেষ্ট এবং হুথিদের প্রতিহত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইসরায়েলের দাবানল কীভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে?
দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইসরায়েল দমকল বাহিনী এবং উদ্ধারকর্মীদের পাঠিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি সেবা সরবরাহ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হুথিদের এই হামলা কিভাবে পরিকল্পিত ছিল?
হুথিরা অনেক সময় ধরে এই আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল, যেখানে তারা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়।
ইসরায়েলের বর্তমান পরিস্থিতি কী রকম?
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। একদিকে দাবানলের হুমকি এবং অন্যদিকে হুথিদের হামলা তাদের নিরাপত্তার প্রতি অপরিসীম চাপ সৃষ্টি করছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কী বলেছেন?
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন যে যারা তাদের বিপদে ফেলবে তাদেরকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। তবে এই প্রতিশোধ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে বিশ্লেষকরা চিন্তিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।