আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান৷ তবে গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়া তিনজনের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।
সোমবার মাহমুদ মৌসাভি মাজদ নামের এক ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান৷ মাজদ সত্তরের দশকে সপরিবারে সিরিয়ায় চলে যান৷ সেখানে ইংরেজি এবং আরবি ভাষার অনুবাদকের কাজ করতেন৷
ইরানের অনলাইন নিউজ পোর্টাল মিজান এক বিচারককে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘‘গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে মাহমুদ মৌসাভি মাজদের মৃত্যুদণ্ড সোমবার সকালে কার্যকর হয়েছে৷ এর ফলে তার বিরুদ্ধে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগের মামলাটি চিরতরে শেষ হলো৷’’
মাজদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাকে রেভোল্যুশনারি গার্ড বাহিনি কুদসের সাবেক প্রধান কাশেম সোলেইমানি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছেন৷ গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত সোলাইমানি বা কুদসের সঙ্গে মাজদের সরাসরি কোনো সম্পর্ক ছিল না৷ তবে আরবি এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সুবাদে অনুবাদকের কাজ করার সুযোগ পেয়ে ইরানের সেনাবাহিনির অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত করতেন৷ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার৷
সোলেইমানির সম্পর্কে তথ্য পাচারের অভিযোগে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷ তবে সেবার কিছুদিন পর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল৷
তিনজনের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত
সম্প্রতি সিআইএর কাছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত তথ্য বিক্রির অভিযোগে রেজা আসগরি নামের একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷
মাজদের মৃত্যুদণ্ড এমন সময়ে কার্যকর হলো যখন ইরান জুড়ে হ্যাশট্যাগ ডোন্টএক্সিকিউট এবং হ্যাশট্যাগ স্টপ এক্সিকিউশইনইরান আন্দোলন৷
গত ডিসেম্বরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ সিআইএর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদের তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।