নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ইসলামী ব্যাংকের পরীক্ষাবিহীন নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। ছাঁটাই হতে পারে ৯৭২৯ জন।’
এই ভাইরাল তথ্যটি ভুয়া বলে দাবি করেছেন ইসলামি ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম।
গত শনিবার থেকে ভাইরাল এই পোস্টটি অনেকের ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়।
ভাইরাল পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, ‘ইসলামী ব্যাংকের পরীক্ষাবিহীন নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। ছাঁটাই হতে পারে ৯৭২৯ জন।’
ইসলামি ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম জুমবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কিছু মানুষের ফেসবুক আইডিতে ছড়ানো এই পোস্ট দেখতে পাই। কোন এক কুচক্রী মহল এই ব্যাংকের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
যারা সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর আগে ব্যাংকটির দিলকুশার প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনাও ঘটেছিল।
এ ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৭ সালের পরে যারা নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তারা আর ব্যাংকে থাকতে পারবেন না। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে ইসলামী ব্যাংক দখল হয়েছে, তা আবার ফিরে আসবে।
আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে পরীক্ষা ছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নিয়োগ বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে ওই সময়ের পরে যাদের চাকরি অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে, তাদের চাকরি পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া গত সাত বছরে যারা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের যথাযথভাবে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকে অনেক কর্মকর্তাকে জোরপূর্বক চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আবার অনেক জুনিয়র কর্মকর্তাকে সিনিয়র পদে বসানো হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বের করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।