জুমবাংলা ডেস্ক: সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে ১ হাজার ৭৮৮ বন্যাদূর্গত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিতে একশনএইড বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ২০ লক্ষ টাকা অনুদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্রকল্পে মাঠ পর্যায়ে একশনএইড বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (ভার্ড)।
ইস্টার্ন ব্যাংকের অনুদানে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাধাঘাট ইউনিয়নে একশনএইড বাংলাদেশ ও ভার্ড এর উদ্যোগে ২৭ ও ২৮ আগস্ট ১ হাজার ৭৮৮ টি বন্যাদূর্গত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। জনপ্রতি ৬ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি সুজি বিতরণ করা হয়।
এমন সংকটের সময় খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা দক্ষিণ বাধাঘাট ইউনিয়নের জামের তলা গ্রামের বাসিন্দা জোসনা বেগম।
তিনি বলেন, ‘দফায় দফায় বন্যায় আমাদের সব পানিতে ভেসে গেছে। কি যে দূর্বিষহ জীবন! নুন আনতে পান্তা ফুরোয়! বন্যা শেষ হলেও প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে বন্যা পরবর্তী নানা সংকট। আমাদের এই কঠিন সময়ে এই খাদ্য সহায়তা পেয়ে আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি।’
বিশম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিউর রহমান জাদিদ বলেন, ‘একশনএইড বন্যার শুরু থেকেই বাদাঘাট ইউনিয়নের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অদ্যাবধি বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
ইস্টার্ন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও আলি রেজা ইফতেখার জানান, ‘একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকলের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ইবিএল সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে দাঁড়াতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। এই শোকের মাসে তাই আমরা এবার সাহায্য পৌঁছানোর পদক্ষেপ নিয়েছি সিলেটের বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছানোর আমাদের এই প্রচেষ্টায় সাহায্য করছে আমাদের পার্টনার একশনএইড বাংলাদেশ।’
একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘মানবিক সহায়তায় ইবিএলের এগিয়ে আসা কমউনিটির মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে। মোট ১ হাজার ৭৮৮ টি পরিবার সহায়তা পাচ্ছে এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই পদক্ষেপ বন্যার্তদের ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যোগাবে।’
এছাড়াও তিনি সকল প্রতিষ্ঠানকে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন থেকে উজানের পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সবগুলো উপজেলা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের বড় একটি অংশ। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যাকালীন ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। একশনএইড বাংলাদেশ বন্যার প্রথম থেকেই বন্যার্তদের পাশে বিভিন্ন ধরণের সাহায্য নিয়ে উপস্থিত হয়, যা বর্তমানেও চলমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।