Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ঈদুল আযহায় পরিবেশ সুরক্ষার জন্য করণীয়
    লাইফস্টাইল

    ঈদুল আযহায় পরিবেশ সুরক্ষার জন্য করণীয়

    June 10, 20248 Mins Read

    ঈদ আসে ঈদ চলে যায়, ঈদ হাসতে শেখায় ভালোবাসতে শেখায়। পবিত্র ঈদ-উল-আজহা মুসলিমদের জন্য এক বিশেষ আনন্দের দিন। বছর ঘুরেই এই আনন্দের দিনটি আসে আমাদের মাঝে। আরবি জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ পবিত্র ঈদ-উল-আজহা পালন করা হয়।

    ঈদুল আযহায় পরিবেশ সুরক্ষার

    এই দিনে ঈদ হিসেবে আনন্দ তার সাথে যুক্ত হয়েছে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য প্রিয় প্রাণী কোরবানির আনন্দ। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই এই কোরবানির মর্মকথা। হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সময়কাল হতেই এই কোরবানির রেওয়াজ চালু আছে ইসলাম ধর্মে।

    কোরবানির পশু নিজেই জবাই করা উত্তম। যদি একান্তই না পারেন তাহলে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে হবে। পশুকে জবাইর পর দম ভালোভাবে শেষ হলে সতর্কতার সাথে চামড়া ছাড়াতে হবে। গরুর চামড়া ও ছাগলের চামড়া ছাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। গরুর চামড়া অনেকটা মোটা তাই সাবধানে ছুরি চালাতে হবে। এক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার যেন কোনভাবেই চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ এতে যেমন রয়েছে জাতীয় উন্নতিতে অংশ থাকে এর প্রথমত এতে গরীব দুঃখী লোকের ভাগ রয়েছে। সে অনুভুতি নিয়ে চামড়া ছড়ালে চামড়ায় ক্ষতি কম হতে পারে

    কোরবানির পশু জবাহের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো জানলে খুব সহজে, অল্প সময়ের মানসম্মত কোরবানির গোশত তৈরি করা যায়। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার অন্যতম উপাদান চামড়ার গুণগত মানও ঠিক রাখা যায় এবং পরিবেশসম্মত উপায়ে পরিবেশকে ভালো সুস্থ রেখে আমরা সমুদয় কার্যক্রম শেষ সম্পন্ন করা যায়।

    এ বছর বাংলাদেশে ১১৫৮৮৯২৩টি পশু জবাই হবে কোরবানি উপলক্ষে। এর মধ্যে ৪৪৫৭০০০ গরু, ৭১০০০০০ ছাগল ভেড়া এবং ৩১৯২৩ অন্যান্য প্রাণি। পুরো বছরে যে সংখ্যক গবাদিপশু জবাই হয় তার সিংহভাগই হয় কোরবানির দিনে। আর সেই কোরবানির পশুর চামড়া দেশের ট্যানারি শিল্পের জন্য এক অমূল্য রতন। জাতীয় আয়ের একটা গুরুত্বপুর্ণ খাত।

    দেশের সবজায়গায় কোরবানি করা হয় বলে পরিবেশের ওপর একটা চাপ পড়ে, সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র প্রাণির বর্জ্য ফেলার ফলে পরিবেশ দূষণও হয়। তাই সচেতন হয়ে পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ কিছু কৌশল এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন। কোরবানির চামড়া মান ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ কেননা কোরবানির চামড়া হলো মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। বিশেষত এতে গরীব দুখি মানুষের হক রয়েছে। সে জন্য এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক।

    পশু পালনকারীর জন্য
    স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ উপায়ে পশু পালন করুন; চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে স্টেরয়েড, হরমোন, এন্টিবাওটিক ব্যবহার করবেন না। রোগাক্রান্ত পশু কোন বেচা থেকে বিরত থাকুন; এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হলে প্রত্যাহারকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত গবাদি পশু বিক্রি করবেন না। সবকাজে সচেতনতা দেখালে আমাদের সার্বিক লাভ বেশি হবে।

    বিক্রেতাদের জন্য
    কোরবানির হাটে পশু অসুস্থ হলে কাছের প্রাণিচিকিৎসকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’র আওতায় নিরাপদ খাদ্য বিরোধীকাজ ও অপরাধের জন্য ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। নিজে সচেতন হবো পুরো জাতিকে সচেতন করবো দেশে লাভ নিশ্চিত করবো।

    ক্রেতাদের জন্য
    কোরবানির জন্য সুস্থ্য সবল পশু আবশ্যকীয়। নিরোগ স্বাস্থ্যবান সতেজ, স্বাভাবিক কাজ, জাবর কাটা, নাকের নিচে লোমবিহীন অংশে (মাজল) ভেজা ভাব ও উজ্জল চেহারা সম্পন্ন; কোরবানির জন্য প্রাপ্তবয়স্ক পশু অন্যূন ২ বছর বয়সের গরু, ১ বছরে বয়সের ছাগল/ভেড়া কিনুন।

    কোরবানির জন্য গর্ভবতী অসুস্থ, বিকলাঙ্গ পশু কেনা বেচা থেকে বিরত থাকুন; প্রয়োজনে কাছের প্রাণিচিকিৎসকের সহায়তা নিন। দেখেই বোঝা যায় শরীরে কোন কাটা বা ক্ষতের দাগ আছে কিনা এগুলো থাকলে চামড়ার মান মাংসের মান অনেকটাই কমে যায়।

    পশু জবাইকারীদের জন্য
    কোরবানির পশুকে প্রয়োজনীয় বিশ্রামে রাখুন। আর দীর্ঘ ভ্রমণের ফলে ক্লান্ত পশু জবাই করা হলে চামড়া ছড়াতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। চামড়ার অনেক অংশ কেটে ছিঁড়ে যায়। জবাইয়ের ১২ ঘণ্টা আগ থেকে পানি ব্যতিত অন্য খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। এতে করে পাকস্থলীতে অনুজীবের চাপ কম হয় যার ফলে খুব সহজেই চামড়া ছাড়ানো যায়।

    পশুকে কোন ভাবেই ভয় ভীতি প্রদর্শন অথবা মারা যাবে না। এতে করে পশু জবাইয়ের পর রক্তপাত বাধাগ্রস্ত হয়। যার জন্য মাংসে রক্তের পরিমাণ বেশি হলে মাংসের মান কমে যায়। পশুকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা খুব জরুরি। শরীর এবং খসে পড়া পশমগুলো সাবান অথবা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

    এতে করে চামড়ায় গোবর বা অন্য জীবাণুর পরিমাণ অনেক কমে যাবে এবং চামড়ায় দ্রুত পচনও রোধ হবে অনেকাংশে। সংক্রামক ব্যাধিমুক্ত দক্ষ ব্যক্তি দ্বারা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করুন। জবাইয়ের আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে পশুকে গোসল করিয়ে নিন।

    পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতকরণে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত ছুরি দা বটি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ব্যবহার করুন। পশুর দম গেলেই কেবল চামড়া ছড়ানো শুরু করুন। পশুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার সময় মাংস যেন সরাসরি মাটি ও ধুলাবালি বা অন্যান্য আবর্জনার সংস্পর্শে না আসে এবং কুকুর বিড়াল হাঁস মুরগি পোকা মাকড় মাছি পোষাপ্রাণি দ্বারা মাংস যাতে দূষিত না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।

    জবাইকালে লক্ষ্যণীয়
    জবেহ করার জন্য নোকদার ছুরি আর চামড়া ছাড়াবার জন্য মাথা বাঁকানো ছুরি ব্যবহার করুন। গবাদিপশু বিশেষত গরুকে সুন্দর করে রেস্ট্রেইনিং (নিয়ন্ত্রণ) করে কৌশলে উপযুক্ত পরিবেশে শোয়াতে হবে। পরিষ্কার পরিছন্ন এবং হালকা ঢালু এমন জায়গায় বেশি ভালো হয়। জবাইয়ের জন্য খুব ধারালো ছুরি ব্যবহার করা উত্তম, যেন পশুর কষ্ট বেশি না হয়।

    কোরবানির পশু নিজেই জবাই করা উত্তম। যদি একান্তই না পারেন তাহলে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে হবে। পশুকে জবাইর পর দম ভালোভাবে শেষ হলে সতর্কতার সাথে চামড়া ছাড়াতে হবে। গরুর চামড়া ও ছাগলের চামড়া ছাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। গরুর চামড়া অনেকটা মোটা তাই সাবধানে ছুরি চালাতে হবে। এক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার যেন কোনভাবেই চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    কারণ এতে যেমন রয়েছে জাতীয় উন্নতিতে অংশ থাকে এর প্রথমত এতে গরীব দুঃখী লোকের ভাগ রয়েছে। সে অনুভুতি নিয়ে চামড়া ছড়ালে চামড়ায় ক্ষতি কম হতে পারে। খুব তীক্ষ্ণ ছুরি দিয়ে সর্তকতা এবং সাবধানে পশুর চামড়া ছাড়ালে লাভ বেশি হয় সহজ হয়ে। মাংস প্রস্তুতের সময় রোগাক্রান্ত অংশ যেন সিস্ট অস্বাভাবিক বড় লসিকাগ্রন্থি সিমেন্টের মতো শক্ত কলিজার কোন অংশ পাওয়া গেলে সতর্কতার সাথে সে অংশটুকু পৃথক করে স্বাস্থ্যসম্মত উপায় মটিতে পুঁতে ফেলুন অথবা বিনষ্ট করে ফেলুন।

    চামড়া ছাড়ানোর পর মাটিতে ছেঁচড়াবেন না। রক্ত, গোবর এবং কাদাযুক্ত মাটি যেন চামড়ায় না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। সবার অলক্ষ্যে মূল্যবান চামড়া যেন কুকুরের খাদ্য না হয়। ছড়ানো চামড়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিক্রির ব্যবস্থা নিন। ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রয় সম্ভব না হলে লবণ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

    অন্যান্য করণীয়
    জবাইয়ের পর যেখানে চামড়া ছড়ানোর স্থান নির্ধারণ করা হবে তা যেন পরিষ্কার ও পরিছন্ন থাকে। অনেক সময় গরু জবাইয়ের পর গরু মলত্যাগ করে ফেলে চামড়ায় গোবর লেগে যায়। গোবর ও মূত্র চামড়ায় লাগলে তা সহজেই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে পচন ধরায়। এতে মান নষ্ট হয়।

    গোবর লেগে গেলেও সাথে সাথে তা সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। ছাগলের চামড়া ছাড়ানো তুলনামূলক অনেক সহজ। পায়ের চামড়া ছুরি দিয়ে ছাড়ানোর পর হাতের আঙ্গুলের উপর চাপ দিয়েই বাকিটা সহজেই ছাড়ানো যায়। এক্ষেত্রে ছুরির ব্যাটের অংশ ব্যবহার খুবই সহায়ক হয়। খুব রোদ না থাকলে বেশিক্ষণ না রাখায় ভালো। এতে করে ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে চামড়ার পচন দ্রুত হয়। আর যদি চামড়া বাজারজাত করতে দেরি হয় তাহলে তাতে লবণ দিয়ে রাখতে হবে।

    এক্ষেত্রে কয়েকটা নিয়ম আছে। ভিতরের অংশে লবণ দিয়ে পরস্পরের সাথে জড়িয়ে রাখতে হয়। আর একটা নিয়ম লবণ পানি করে তাতে ডুবিয়ে পরে শুকাতে হবে। যদি বাতাস ও রোদ থাকে তাহলেও রোদে শুকিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। এক্ষেত্রে বাতাসের যথেষ্ট সরবরাহ আছে এমন স্থান বেছে নিতে হবে।

    চামড়া সংরক্ষণকালে
    চামড়া ভালোভাবে ধুয়ে নিন। চামড়ায় লেগে থাকা অতিরিক্ত মাংস, চর্বি এবং ঝিল্লি ভালোভাবে ছুরি দিয়ে উঠিয়ে ফেলুন। না হলে সে সব স্থানে লবণ প্রবেশ করবে না। চামড়ার গোস্তের পিঠ উপরের দিক রেখে মুঠি মুঠি লবণ ছড়িয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে ঘষে তাতে লাগিয়ে দিন। প্রথমবারের লবণ চুষে নিলে আর একবার লবণ ছড়িয়ে দিন। গরু প্রতি ৪ থেকে ৫ কেজি আর ছাগল প্রতি ১ কেজি লবণের দরকার হয়। পারলে লবণ পানিতে ভিজিয়ে তারপর শুকিয়ে নিন।

    মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রান্নাকারীদের জন্য
    কাঁচামাংস স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৪ ঘণ্টা বেশি না রেখে যতদ্রুত সম্ভব রান্না করুন। মাংস অল্প সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে রিফ্রিজারের ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করতে হবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপফ্রিজে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচের তাপমাত্রায় ছোট ছোট আলাদা প্যাকেটে রাখুন। প্রতিবারে রান্নার উপযোগী পরিমাণ মাংস আলাদা প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে। মাংস সঠিক তাপে ভালোভাবে রান্না করুন। এতে মাংসে কোন ক্ষতিকর জীবাণু থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। মাংসে অতিরিক্ত মসলা তেল ব্যবহার না করে পরিমাণ মতো ব্যবহার করেল বহুমুখী লাভ হয়।

    পরিবেশসম্মত করণীয়
    কোরবানির ঈদ আমাদের খুশি আনন্দ দেয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠির পুষ্টির যোগান দেয়, মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা দেয়। সে সাথে অনাকাঙ্খিত কাজে এনে দেয় বিপর্যস্ত পরিবেশ। ঈদের আনন্দে আমরা অনেক সময় ভুলে যাই আমাদের পরিবেশ রক্ষার কথা। পাশাপাশি নিজেদের অজান্তে নষ্ট করে ফেলি মূল্যবান কিছু সম্পদ। অথচ আমাদের একটু সচেতনতা থেকে আমরা রক্ষা করতে পারি আমাদের পরিবেশ আরো কিছু মূল্যবান সম্পদ।

    পশুর রক্ত থেকে সার তৈরি করা যায়। পশুর রক্ত থেকে উৎকৃষ্ট জৈবসার পাওয়া যায়। এতে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ নাইট্রোজেন থাকে, যা ইউরিয়া সারের মতো কাজ করে। এছাড়াও এতে আছে ফসফরাস ও পটাশিয়াম। জমির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য এ রক্তসার খুবই উপযোগী। তাই পশুর রক্তকে ফেলনা মনে করে অপচয় করা মোটেও উচিৎ নয়। যেখানে সেখানে পশু জবাই না করে সম্ভব হলে যে জমিতে সহসাই ফসল উৎপাদন করবেন, সে জমিতে পশু জবাই করুন। কেবল রক্তের উপর কিছু মাটি চাপা দিন। কিছু দিনের মধ্যেই তা’ পচে উৎকৃষ্ট সারে পরিণত হবে।

    পশুর নাড়ি-ভুঁড়ি ও মল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে নোংরা দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অথচ এগুলোকে এক জায়গায় গর্ত করে পচালে তা’ থেকে মূল্যবান সার পাওয়া যায়। অথবা সে গর্তে ১ দেড় মাস পর যে কোন শাক সবজি লাগিয়ে দিলে বাহারি গাছ হবে বেশি বেশি ফুল ফল ধারণ করে লাভ এনে দিবে।

    সুতরাং রক্ত বা নাড়িভুঁড়ি থেকে প্রাপ্ত এ মূল্যবান জৈব সার ব্যবহারে সবাই সম্মিলিতভাবে যতœবান হই। তবে দুর্গন্ধ দূষিত পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে এসব কাজে সাথে জবাই করা জায়গায় পরিমাণ মতো বিøচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। সিটি করপোরেশন বা অন্যান্য কমিউনিটি লোকদের সহায়ক করলে আমাদের পরিবেশ সুসম্মত থাকবে ঈদের আনন্দ নির্মল সাবলীল সুন্দর থাকবে।

    ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম এবং তাৎপর্য

    যেসব বর্জ্য আমাদের পরিবেশ বিপর্য়য়ের কারণ সেসব বর্জ্য পদার্থই আমাদের ফসলবান্ধব পদার্থ। দরকার শুধু আমাদের জ্ঞানটুকুকে পরিকল্পনা মাফিক কৌশলে কাজে লাগানো যথাযথ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা যায তখন আমাদের পরিবেশ যেমন সম্মত থাকলে সার্বিক লাভও তত বেশি হবে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করে নির্ধারিত স্থানে ফেলুন।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আযহায় ঈদুল ঈদুল আযহায় পরিবেশ সুরক্ষার করণীয়, জন্য পরিবেশ লাইফস্টাইল সুরক্ষার
    Related Posts
    গরুর মাংস

    স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরুর মাংস রান্নার ১০ উপায়

    June 9, 2025
    পেশোয়ারি গোশত

    মসলা ছাড়া পেশোয়ারি গোশত তৈরি করে ফেলুন

    June 8, 2025
    কোরবানির মাংস খাওয়া

    কোরবানির মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত ৪ টিপস

    June 8, 2025
    সর্বশেষ খবর
    নির্বাচন

    আগামী এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

    কোরিয়ান জনপ্রিয় মডেল

    মাত্র ২৯ বছর বয়সে চলে গেলেন কোরিয়ান জনপ্রিয় মডেল

    বজ্রবৃষ্টির আভাস

    অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহ, একইসঙ্গে ৮ বিভাগেই বজ্রবৃষ্টির আভাস

    বাইডেনের মতো বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেলেন ট্রাম্প

    ঈদ

    ‘গত ১৫ বছরে ৩২টি ঈদ চলে গেছে, কিন্তু মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পারেনি’

    সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার না করার কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    ১০ জনকে পিটুনি

    লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ ১০ জনকে পিটুনি, আটক ৩

    পর্তুগাল

    ‘পর্তুগালের জন্য যদি পা ভেঙে ফেলতেও হতো, আমি তাই করতাম’

    কোরবানি

    ইসলামে জিলহজের তৃতীয় দিন যে সময় পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে

    গরুর মাংস

    স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরুর মাংস রান্নার ১০ উপায়

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.