সামনে আসছে ঈদ। তাই আকাশ পথে টিকিটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য টিকিটের দাম ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। এয়ারলাইন্সগুলো মনে করে যে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে যাবে।

যদি উড়োজাহাজের সংখ্যা না বাড়ানো হয় তাহলে যাত্রীর চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। ঈদের ছুটিতে অনেকেই বিমানের মাধ্যমে ঘরে ফিরে আসতে চাইবে এবং বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাবে। দেশে বা বিদেশে এত যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়া এয়ারলাইন্স গুলোর পক্ষে সহজ নয়। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সিট ক্যাপাসিটি খুব বেশি নয় । সামনে বিমানের টিকিটের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইন টিকিট এজেন্সিগুলোর তথ্য বলছে, বর্তমানে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে এয়ারলাইন্স ভেদে ৩০-৩১ মার্চ থেকে ৪-৫ এপ্রিল, জনপ্রতি টিকিটের দাম পড়ছে ১২ হাজার ২৯২ থেকে ১২ হাজার ৫৮২ টাকা। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ১১ হাজার ৩৯৮ থেকে ১৩ হাজার ৫৪০ টাকা, এছাড়া ঢাকা-সিলেট রুটে প্রায় ১০ হাজার টাকা ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে টিকিটের দাম পড়ছে ১৩৩৬৭ টাকা।
ট্যুর অপারেটর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আটাব) বলছে, দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিবছর বাড়ছে উড়োজাহাজ যাত্রী। এই চাহিদার ফলেই কমছে না ভাড়া। আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম বিকাশ হচ্ছে দ্রুত। পর্যটকরা খরচের পরিমাণও বাড়িয়েছেন। বেড়েছে বিভিন্ন রুটে বিমান টিকিটের ভাড়াও। তবে এ বিষয়ে নজর দেয়া উচিত, যাতে কম দামে পর্যটকরা টিকিট কিনতে পারেন।
মৌসুমে চাহিদার বিপরীতে উড়োজাহাজ সংকট থাকায় আপাতত ভাড়া বিড়ম্বনা কমবে না বলে মত সংশ্লিষ্টদের। ট্রিউন গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ বিমানসহ দেশের অভ্যন্তরে যে কয়েকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স চলাচল করে তাদের ক্যাপাসিটি সীমিত।
যা দিয়েই ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে তারা ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। তবে যাত্রীর যে চাপ থাকে সে অনুযায়ী ফ্লাইট বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তাই এয়ারলাইন্সগুলোর পক্ষে কম ভাড়ায় যাত্রী আনা-নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, দেশের অভ্যন্তরে যাত্রী পরিবহন করে চারটি এয়ারলাইন্স। এরমধ্যে দুটি সেবা দেয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটেও। বিদেশ ফ্লাইটের চাপ থাকায় অভ্যন্তরে অনিয়মিত ফ্লাইট বাড়ানোর খুব বেশি সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।