জুমবাংলা ডেস্ক : কলারোয়ায় ছেলের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঈদের আগের দিন রাতে রোববার উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত নজরুল ইসলাম (৫৫) ছলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কলারোয়া পৌর সদরের ক্ষুদ্র জুতা ব্যবসায়ী। তার ছেলে নুরুল ইসলাম (১৭) কলারোয়ার হাজী নাসিরউদ্দীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় ছেলের ধাক্কায় বাবা নজরুল ইসলাম ছিটকে মাটিতে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এ ঘটনার পর ছেলে নুরুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা আরও জানান, এ ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী মজিদা বেগম গ্রামবাসীদের সহায়তায় আহত স্বামীকে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নজরুল ইসলামকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নজরুল ইসলাম গরিব ও অভাবী মানুষ। শুনেছি ছেলে ঈদে নতুন জামা দাবি করেছিল। কিন্তু দিতে না পারায় এ ঘটনা নিয়ে রোববার রাতে ভাত খাওয়ার সময় বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ছেলে বাবাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছেলের ধাক্কায় বাবা উঠানে ছিটকে পড়েন। এতে মাথায় আঘাত পান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজিদা বেগম গতকাল সন্ধ্যায় ছেলে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।