ঈদের নতুন টাকা চাহিদা অনুযায়ী জোগান কম
জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদে এবার বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ছেড়েছে কম, অথচ চাহিদা বেশি। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও পাননি তাদের চাওয়া অনুযায়ী। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকের সামনের ফুটপাতসহ নানা জায়গায় অভাব পড়েনি নোটের। সেখানে অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে বান্ডেল। ফুটপাতে নতুন নোট কীভাবে আসে, সে প্রশ্ন নতুন নয়। কিন্তু কখনও এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ব্যাংকে না পাওয়ার কারণে এবার ফুটপাতের দোকানিরা দাম নিয়েছেন বেশি।
ফুটপাতে ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মানের নতুন নোটের এক বান্ডেল (১০০টি) বিক্রি হয়েছে অতিরিক্ত ২৫০ টাকা দরে; যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। গত বছরও নতুন নোটের জন্য বান্ডেলপ্রতি বেশি দিতে হয়েছে ৮০ থেকে বড়জোর ১০০ টাকা। ৫৫ হাজার টাকাতে নতুন নোট নিয়েছেন, এমন একজনকে অতিরিক্ত দিতে হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ টাকা। অর্থাৎ টাকার মানের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। তার মানে ১০ টাকা তিনি কিনেছেন আসলে ১১ টাকায়। যারা একটি বা দুটি বান্ডেল কিনেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ১০ টাকার দাম ১২ বা সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত পড়ে গেছে। অথচ আইনে মুদ্রা বিক্রি অপরাধ। বাংলাদেশের অনুমোদিত মুদ্রার বিনিময় করতে অতিরিক্ত কোনো ফি, চার্জ বা অর্থ নেওয়া দণ্ডনীয়। তবে ফুটপাতের এসব দোকানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির মেলে না।
ধাতব মুদ্রার প্রচলন গত কয়েক বছর ধরে দুই ও পাঁচ টাকার নোট বাজারে ছাড়েনি বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এবার পাঁচ টাকার নোট ছেড়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার ঈদে নতুন নোট ছেড়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার। গত বছরের ঈদুল ফিতরে ছাড়া হয় ২৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ঈদুল আজহার সময়ে ছাড়া হয়েছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা। প্রতি ঈদের সময়েই নতুন টাকার চাহিদা বেড়ে থাকে। এবার নতুন ছাপানো নোটের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি বিভাগ। কেন এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে দেওয়া হয়নি ব্যাখ্যা। বাজারে টাকা কত টাকা রয়েছে, অর্থনীতির আকার অনুযায়ী কোন মুদ্রা কত পরিমাণে থাকবে, তা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বটি পালন করে থাকে এই কারেন্সি বিভাগ।
বর্তমানে দেশে ১ টাকার ধাতব মুদ্রা, কাগজের পাশাপাশি ধাতব মুদ্রা রয়েছে ২ ও ৫ টাকার। আর ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ১০০০ টাকার কাগজে ছাপানো মুদ্রা রয়েছে। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ১৮ এপ্রিল দিনের প্রথম ভাগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১০, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট ফুরিয়ে যায়। এমনকি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনেকেও এসব নোট পাননি। কাউন্টারে না পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কারেন্সি অফিসারের কক্ষের সামনে অনেক কর্মকর্তাকে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। গত ৯ এপ্রিল থেকে নতুন টাকার নোট বিনিময় শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকেও তা পাওয়া যাওয়ার কথা জানানো হয়। সে সময় প্রয়োজনে আরও বেশি পরিমাণে নতুন নোট বাজারে ছাড়ার কথাও জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।