জুমবাংলা ডেস্ক: ঈদের পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধেও কারখানা চালু রাখতে চান তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতসহ রপ্তানি-মুখী শিল্পের মালিকেরা। এজন্য তারা সরকার প্রধানকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজধানীর গুলশানে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পিআর অ্যান্ড মিডিয়া কার্যালয়ে বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্যরা।
বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক সংগঠনের নেতা জানান, বৃহস্পতিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা চিঠি হস্তান্তর করা হবে।
চিঠিতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, বিজিএপিএমইএ, বিটিটিএলএমইএ ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন রফতানিমুখী শিল্প মালিকরা। দুপুর ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকবেন সংগঠনটির সাবেক নেতারাও।
প্রসঙ্গত, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হবে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করা হলো। তবে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আবার কঠোর লকডাউন শুরু হবে।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



