স্পোর্টস ডেস্ক: জয়ের জন্য শেষ ১০ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৪ রানের। হাতে তখনও ছিল ৫ উইকেট। ক্রিজে আছেন বিধ্বংসী মেজাজে থাকা তামিম ইকবাল। তারপরও বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৩ রানে ম্যাচ হেরে গেল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা! চোখের সামনে এমন পরাজয় দেখেও বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যায়! ম্যাচ শেষে তামিম অপরাজিত ৫৬ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৭৩* রানে!
জয়ের লক্ষ্যে রান তাড়ায় নেমে বিপদেই পড়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।
২১ রানে নেই হয়ে যায় ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শেহজাদ ৮ বলে ৭ রান করে শরীফুলের শিকার হন। ইরমানকে (৮) তুলে নেন নাসুম আহমেদ। বেশ চমক দেখিয়েই তিনে নামানো হয় মাশরাফিকে। কিন্তু ফাটকাটা কাজে লাগেনি। ২ বল খেলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরেন মাশরাফি। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গী হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৫৯ বলে ৭১ রানের দারুণ জুটি। এই জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা।
মেহেদি মিরাজের বলে বেনি হাওয়েলের তালুবন্দি হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ ২৯ বলে ২৪ রান করেন। ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। এরপর তার সঙ্গী হন শুভাগত হোম। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে ২৫ বলে ৪৩ রানের আরও একটা দারুণ জুটি উপহার দেন। ১১ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২২ রানের ঝড় তুলে শরীফুলের শিকার হন শুভাগত। ঢাকা তখন জয় থেকে ১৩ রান দূরে। ৭ নম্বরে নামা কায়েস আহমেদ (১) ওইটুকুও টিকতে পারেননি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রানের। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তামিম ইকবাল আর নাঈম সেটা নিতে পারেননি! শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান এবং ১ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের হিরো মৃত্যুঞ্জয়। ৩ রানে ম্যাচ হেরে যায় ঢাকা।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তোলে চট্টগ্রাম। চলতি টুর্নামেন্টে আজ আবারও অধিনায়ক বদলেছে চট্টগ্রাম। মিরাজ, নাঈমের পর আজ নেতৃত্বভার চেপেছে আফিফ হোসেনর ওপর। মাহমুদউল্লাহর বলে আউট হওয়ার আগে আফিফ করেন ২৪ বলে ২৭। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৫২ রান করেন শামীম হোসেন। শেষের দিকে বেনি হাওয়েলের ১৯ বলে ২ ছক্কায় ২৪ রানে চট্টগ্রাম মাঝারি স্কোর পায়।
মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সব টিকিট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।