ফের আলোচনায় উঠে আসল সংখ্যালঘু উইগুর সম্প্রদায়ের ওপর চীন সরকার কর্তৃক নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি।
বিশ্ব উইগুর কংগ্রেসের সভাপতি দোলকান ইসা সিএনএন-নিউজ১৮ এর সঙ্গে সাক্ষাতকারে বলেন, চীন সরকার পরিকল্পিতভাবে উইগুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে মুসলিম নিধনের কাজ করছে চীন, যা গণহত্যার সামিল।
দোলকান ইসা বলেন, ‘এক সময় জিনজিয়াং প্রদেশে বেশিরভাগ নাগরিকই ছিল উইঘুর সম্প্রদায়ের। কিন্তু চীন সরকারের নিপীড়নের কারণে জিনজিয়াংয়ে এখন ৪০ শতাংশ নাগরিকই চীনা।
’ তিনি আরো বলেন, ‘উইঘুরদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে দেওয়া হয় না। এমনকি তাদেরকে রমযান মাসে রোযা রাখতেও দেওয়া হয় না।
বেশিরভাগ উইঘুরদের পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। উইঘুরদের সন্তানদের তাদের পরিবারের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
ইসলাম থেকে শিশুদের দূরে সরিয়ে রাখতেই এটা করা হচ্ছে।’ দোলকান ইসা আরও বলেন, ‘উইঘুরদের মসজিদগুলো প্রস্রাব করার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
তাদের ধর্মীয় পরিচয় ও রীতি পালনে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। চীন সরকার পরিকল্পিতভাবে উইঘুরদের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে, বিভিন্নভাবে মুসলিম নিধনের কাজ করছে, সেটা গণহত্যার সামিল। উইঘুরদের জন্য চীন সরকারের পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়।
তারা মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকদের নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন আটককেন্দ্রে ৩০ লাখের বেশি উইঘুর আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
উইঘুরদের গণহত্যার মতো অপরাধ করছে চীন।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও চীন বিষয়টি প্রভাবিত করছে।
জিনজিয়াংয়ে পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের দোহাই দিয়ে তারা এটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। আর জাতিসংঘের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা দেশ চীন।
’ সে কারণে নানাভাবে জাতিসংঘে চীনের প্রভাব রয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও সেটি সুকৌশলে চীন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।