আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দশ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমদের শ্রম শিবিরে জোর করে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ। তাই শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে আমদানি বন্ধের আইনে সায় দিল মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। খবর ডয়চে ভেলের।
ব্যবসায়ী মহলের চাপ ছিল। তা সত্ত্বেও মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে সর্বসম্মতিতে পাস হয়ে গেল শিনজিয়াং থেকে কোনো জিনিস আমদানি না করা সংক্রান্ত বিল। সদস্যদের মতে, উইঘুরদের দিয়ে জোর করে শ্রম শিবিরে রেখে কাজ করানো হয় শিনজিয়াং প্রদেশে। দশ লাখেরও বেশি মানুষকে এই অত্যাচারের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাই অত্যাচার বন্ধ করার জন্য শিনজিয়াং প্রদেশের জিনিস আমদানি নিষিদ্ধ করা হলো।
জাতিসংঘও বলছে, উইঘুর মুসলিমদের জোর করে শিবিরে রেখে এই কাজ করাচ্ছে চীন। অ্যামেরিকা ও অন্য দেশগুলি এ নিয়ে অতীতে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এখন অ্যামেরিকা চাপ দিয়ে এই অত্যাচার বন্ধ করতে চাইছে।
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ”দুঃখের কথা হলো, জোর করে কাজ করানো মানুষরা যে জিনিস তৈরি করছেন, সেগুলি অ্যামেরিকার দোকানে ও বাড়িতে ঠাঁই পাচ্ছে। বেজিং-কে আমাদের সরাসরি বার্তা দিতে হবে। এই অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।”
একটা সমীক্ষা অনুযায়ী, অ্যামেরিকায় চীন থেকে যে বস্ত্র আসে তার ২০ শতাংশতে অন্ততপক্ষে শিনজিয়াং-এ তৈরি সুতো থাকে।
মার্কিন চেম্বারস অফ কমার্স বা বণিকসভা এই বিলের বিরোধিতা করছিল। তাঁদের মতে, এর ফলে এমন অনেক জিনিসই আর অ্যানেরিকায় ঢুকতে পারবে না, যেখানে জোর করে করানো শ্রমের চিহ্নমাত্র নেই। কিন্তু বিদেশ দপ্তর বলেছে, তারা মার্কিন সংস্থা এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এজেন্সিকে জানাবে, কোন কোন জিনিসে জোর করে করানো শ্রম রয়েছে।
চীন অবশ্য দাবি করে, তারা উইঘুরদের দিয়ে জোর করে কাজ করায় না। উইঘুরদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, যাতে করে তাঁরা সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকে না পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।