উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা দেখতে চীন যাচ্ছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা দেখতে চীন যাচ্ছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনার মিশেল বাশেলেট। আগামী মে মাসে চীনের পশ্চিম শিনজিয়াং প্রদেশে যাবেন তিনি।

ফাইল ছবি

মিশেলের এই সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানে উইঘুরদের অবস্থা দেখা। খবর (এপি, এএফপি ও রয়টার্সের।

চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তারা শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের সংশোধনাগারে রাখার নাম করে কার্যত বন্দি করে অকথ্য অত্যাচার চালায়। পশ্চিমা দেশগুলি এবং বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার। চীন অবশ্য প্রতিবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনের বৈঠকের পর মিশেল বলেছেন, চীন সরকারের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। মে মাসে তিনি চীনে যাবেন। ২০০৫ সালের পর এই প্রথমবার জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার দল উইঘুরদের অবস্থা দেখতে চীনে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এপ্রিলে জাতিসংঘের একটি দল চীনে যাবে। সেটা হবে অ্যাডভান্সড টিম। তারা পরবর্তী সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবে। জাতিসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল যাতে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে পারে, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যাতে তারা মতবিনিময় করতে পারে, সবকিছু ঘুরে দেখতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।

মিশেল বলেছেন, তিনি একটি বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সেটা হলো, অভিযোগ উঠেছে, চীনে কেউ মানবাধিকারের কথা তুললে, ব্যক্তির উপর অবিচারের কথা তুললে, হয় তাকে জেলে পুরে দেয়া হয় অথবা গৃহবন্দি করে রাখা হয়। বেজিংয়ের উচিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা।

জাতিসংঘে চীনের দূত চেন শু দাবি করেছেন, চীন সবসময়ই মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষা করে। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, কেউই আইনের উপরে নয়।

মানবাধিকার সংস্থাগুলি বহুবার অভিযোগ করেছে, শিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমদের শিবিরে রাখা হয়েছে। তাদের উপর অত্যাচার করা হয়। তাদের নির্বীর্যকরণ হয়। উইঘুর মুসলিমদের অনেকে এই অভিযোগ সমর্থন করেছেন। বেজিংয়ের দাবি, যে শিবিরের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি আসলে ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার। সেখানে প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়া আর কিছুই করা হয় না।