জুমবাংলা ডেস্ক : নির্দেশনা না মেনে প্রশিক্ষণ মাঠে উচ্চ স্বরে হইচই করার অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৮ এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোববার সন্ধ্যায় তাদের হাতে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়। যাতে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার পক্ষে নোটিশে স্বাক্ষর করেন একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) তানভীর সালেহীন ইমন।
শোকজ করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৭ ডিসেম্বর বৈকালিক কার্যক্রমে নিয়মিত সাপ্তাহিক গেইম প্যারেড ছিল। গেইম প্যারেড শুরুর পূর্বে কোম্পানিভিত্তিক প্রশিক্ষণার্থীদের ফল-ইন করানোর জন্য কোম্পানির সিএএসআই থাকেন। ফল-ইনের সময় অ্যালাইনমেন্টে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক কোম্পানির কমান্ডার ও আরআই উপস্থিত হন।
‘প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে মাইকে বলা হয়, আজকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্যারেড মাঠ পরিদর্শনে আসবেন। মাইকে সকল কোম্পানির প্রশিক্ষণার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে গেইম প্যারেড করার জন্য বলা হয়। এই নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ স্বরে হইচই করতে থাকেন এবং উসকানিমূলক কথাবার্তায় অন্যান্য ক্যাডেট উত্তেজিত হয়ে হইচই করেন। আরআই আপনাদেরকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশনা দেন এবং ঘটনার বিষয়টি এএসপি (পিটি) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ফিল্ড) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার জন্য জানান। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্যারেড মাঠে আসেন এবং শান্ত থেকে সুশৃঙ্খলভাবে প্যারেড অনুশীলন করার জন্য দিকনির্দেশনা দেন। গেইম প্যারেড চালু হওয়ার সময় উসকানিমূলক কথাবার্তায় অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে দৌড়ে না গিয়ে হেঁটে হেঁটে চলতে থাকে এবং শান্ত না হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে।’
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার ও পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) তানভীর সালেহীন ইমনকে পাওয়া যায়নি। তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, শোকজ পাওয়া এক এসআই জানান, ১২ মাসের জায়গায় তারা ১৪ মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী চলতি বছরের ৪ নভেম্বর তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল। তাদের সঙ্গে এসব অন্যায় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন এসআই ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে সারদায় বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন এবং সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার চতুর্থ ধাপে প্রায় একই ধরনের অভিযোগে আরও আটজনকে শোকজ করা হলো।
এছাড়াও গত ১৫ ডিসেম্বর একই ধরণের অপরাধে প্রশিক্ষণরত বিসিএসের ৪০তম ব্যাচের ২৫ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) শোকজ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।